শ্রদ্ধার্ঘ্য: নিহত পুলিশকর্তাকে সম্মান জানাচ্ছেন মেহবুবা মুফতি। শুক্রবার শ্রীনগরে। পিটিআই
ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের খানিক আগেই ছুটি দিয়ে দিয়েছিলেন ডিএসপি মহম্মদ আয়ুব পণ্ডিত। ভাবতে পারেননি, নিজের এলাকাতেই এমন বিপাকে পড়বেন! জামিয়া মসজিদের সামনে ক্ষিপ্ত লোকজন মারধর শুরু করলে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে গুলি চালান ডিএসপি। অভিযোগ, গুলিতে জখম হন তিন জন বিক্ষোভকারী। তাতেই মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। এক দল তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। শুরু হয়ে যায় পাথরবৃষ্টিও। দেখতে দেখতেই নিথর হয়ে যান আয়ুব।
ঘটনার নিন্দা করলেও এর সঙ্গে ধর্ম বা উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক। টুইট করেছেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় বর্বরতাকে আমাদের মানবিকতা ও মূল্যবোধ ছিনিয়ে নিতে দেব না!’’ মিরওয়াইজ এক হাত নেন সংবাদমাধ্যমকেও। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনার সময় মিরওয়াইজ মসজিদেই ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি, তিনি মসজিদে পৌঁছনোর আগেই খুন হন ডিএসপি।
সেই খবর ছড়াতেই মসজিদের বাইরে পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শ্রীনগরের ৭টি থানা এলাকায় লোক চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। উর্দিতে না থাকায় থেঁতলে যাওয়া দেহটিকে প্রথমে শনাক্ত করা যায়নি।
ক্রুদ্ধ রাজ্যের বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লা। বলেছেন, ‘‘যারা এই জঘন্য কাজ করছে, জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক তারা।’’ বিধায়ক হিসেবে নিজের এক মাসের বেতন নিহত অফিসারের পরিবারকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ওমর। জানান, তাঁর দল পুলিশ উন্নয়ন তহবিলে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy