কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য আগামিকালই অরুণ জেটলিকে এইমসে ভর্তি করানো হতে পারে। সংক্রমণ এড়াতে চিকিৎসকদের পরামর্শে ৬৫ বছর বয়সি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নিজের বাড়িতেই ছিলেন। কারও সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করেননি। তবে ফোনে কথা বলছেন।
জেটলি আজ নিজেই টুইট করেন, ‘কিডনির সমস্যা ও সংক্রমণের জন্য আমার চিকিৎসা চলছে। তাই বাড়িতেই বিচ্ছিন্ন থেকে কাজ করছি। ডাক্তারেরা ভবিষ্যতের চিকিৎসার রূপরেখা ঠিক করবেন।’’ কিডনি প্রতিস্থাপন করা হলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে অন্তত তিন থেকে চার মাস স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে। অসুস্থতার জন্য ৬৫ বছরের জেটলি গত মাসে আর্জেন্তিনায় ২০টি দেশের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে যেতে পারেননি। আগামী সপ্তাহে লন্ডন সফরও বাতিল করতে হয়েছে। রাজ্যসভায় নতুন করে জিতে এলেও এখনও শপথ নিতে পারেননি। সরকারি সূত্রের খবর, এই কারণে জেটলি নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিতে পারেন। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।
বিজেপি সূত্র বলছে, শিল্পমহল এবং রাজনীতিকদেরও একাংশ জেটলিকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর জন্য উদগ্রীব। একটি শিল্পগোষ্ঠী জেটলিকে সরিয়ে পীযূষ গয়ালকে অর্থমন্ত্রীর পদে বসাতেও অনেকদিন ধরে উৎসাহী। এই অংশটি চায়, অর্থনীতির পরিচালনায় জেটলিকে ব্যর্থ প্রমাণ করে তাঁকে নর্থ ব্লক থেকে সরাতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাতে গুরুত্ব দেননি। অসুস্থতার জন্য জেটলিকে কোনও মন্ত্রক ছাড়াই মন্ত্রিসভার সদস্য রাখা হবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে।
মুশকিল হল, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। এই সময় চার বছরের অর্থমন্ত্রীকে সরালে মোদী সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। একটি প্রস্তাব রয়েছে, কোনও শক্তপোক্ত বিজেপি নেতাকে প্রতিমন্ত্রী করা হোক। যেমন, জয়ন্ত সিন্হা। কিন্তু তাতে সংস্কারপন্থীরা খুশি হলেও ভোটের আগে আমজনতাকে খুশি করা বেশি জরুরি বলেও বিজেপির অন্দরমহলের মত।
বিজেপি সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগে ওজন কমানোর জন্য জেটলি ‘বেরিয়াট্রিক সার্জারি’ করানোর পরেই তাঁর কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। ডায়াবিটিসের রোগী জেটলির সে সময় ফুসফুসেও সংক্রমণ হয়েছিল। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হলেও, পরে এইমস-এই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এবারও জেটলিকে এইমস-এর কার্ডিও-নিউরো টাওয়ারে রাখা হতে পারে। কারণ, এ’টি আলাদা ভবনে। এইমস-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জেটলির পারিবারিক বন্ধু। অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে থাকবেন তাঁর ভাই, কিডনির রোগ বিশেষজ্ঞ সন্দীপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy