সুপ্রিম কোর্ট। ছবি-সংগৃহীত।
দু’এক বছর নয়। নয় নয় করে ১৩টা বছর কেটে গেলেও একটি মামলার শুনানি শুরু করা যায়নি বলে দুঃখপ্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।
এই দীর্ঘসূত্রিতার দায়টা অবশ্য শীর্ষ আদালত চাপিয়েছে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের এক বিচারপতির ঘাড়ে। বলা হয়েছে, ওই বিচারপতির পরস্পরবিরোধী দু’টি রায়ের জন্যই সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া পিটিশনের শুনানি ১৩ বছরেও শুরু করা যায়নি।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের ওই বিচারপতি একই দিনে দিয়েছিলেন পরস্পরবিরোধী দু’টি রায়। একটি রায়ে আরও তদন্তের দাবি খারিজ করা হয়েছিল। আরেকটি রায়ে সেই তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই বিচারপতি। ফলে, ‘আইনি ধাঁধা’র সৃষ্টি হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ইরানে ভারতের তৈরি বন্দর উদ্বোধন আজই
আরও পড়ুন- দিল্লিতে দিনেদুপুরে কলেজের ছাদে শিক্ষিকার শ্লীলতাহানি
মূল মামলাটি করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের রুরকির বাসিন্দা এক মহিলা শ্যাম লতা। ২০০৪ সালে। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর দুই ভাই তাঁর বিল বই চুরি করে আর তাঁর সই নকল করে নিজেদের মতো করে ভাড়ার পরিমাণ বসিয়ে নিয়ে ভাড়াটে হিসেবে তাঁর বাড়ির দোকান ঘরটি দখল করে রয়েছেন। অন্য দিকে ওই মহিলার এক ভাইও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ভাড়ার ভুয়ো বিল দাখিল করে দায়ের করা মামলায় তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে অন্যায় ভাবে দোকান ঘর থেকে তুলে দিতে চাইছেন তাঁর দিদি, ভাড়াটে হিসেবে নিয়মিত ন্যয্য ভাড়া দেওয়া সত্ত্বেও। দিদি যাতে তাঁকে দোকান ঘর থেকে তুলে দিতে না পারেন, সে জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন ওই ভাই। আদালতে অবশ্য মহিলার ওই ভাইয়ের আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
কিন্তু পুলিশের তদন্তকারী অফিসার তাঁর রিপোর্টে জানান, এমন কোনও প্রমাণ তিনি পাননি যাতে প্রমাণিত হয় ওই মহিলার ভাই ভাড়ার রসিদে মহিলার সই জাল করেছিলেন। বিষয়টি সেসন কোর্টে যায়। সেই আদালত রায় দেয় মহিলার পক্ষে। তখন তাকে চ্যালেঞ্জ করে ওই ভাই যান উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে। সেখানে পুলিশের তদন্তকারী অফিসারের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেন ওই মহিলা।
সেখানেই মহিলার আবেদনের ভিত্তিতে ফের তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের ওই বিচারপতি। একই দিনে পরে পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও তদন্তের আর্জি খারিজ করে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy