অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভা ভোটে দুর্দান্ত সাফল্য। ৫৮ টি আসনের মধ্যে ২৯ টি-ই বিজেপির দখলে।
এরপরেই যেন লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার রাতে দিল্লিতে বিজেপি-র সদর দফতরে এক নৈশভোজের আসরে তিনি দলীয় সাংসদদের বলেছেন,‘‘সরকারি প্রকল্পগুলোর কথা তুলে ধরার জন্য আপনারা নিয়মিত গ্রামীণ ও পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলো পরিদর্শন করুন। মানুষের হৃদয় জিততেই হবে।’’
সম্প্রতি বিহার ও উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনের ভরাডুবি বিজেপি-র উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তার উপর বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, গ্রামীণ ভারতের সঙ্কটের ছবিটা তুলে ধরেছে মহারাষ্ট্রের কৃষক আন্দোলন। এই অবস্থায় গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারলে যে ২০১৯ সালে ক্ষমতায় ফেরা সম্ভব হবে না, তা বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও অজানা নয়।
আরও পড়ুন: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি: চতুর্থ মামলায় ১৪ বছরের জেল লালুপ্রসাদের
আরও পড়ুন: চিন, পাক মোকাবিলায় সীমান্তে সেনাদের হাতে নতুন অস্ত্র
দেশের যে ১১৫টি জেলাকে অনগ্রসর বলে চিহ্নিত করেছে নীতি আয়োগ, সেই সব এলাকাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ভার মোদী তাঁর দলের সাংসদদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। মোদীর কথায়, ‘‘পিছিয়ে পড়া এলাকায় গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন।’’
মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতের বিধানসভা ভোটে গ্রামীণ এলাকায় জোরালো প্রচার চালিয়ে বিজেপি-র রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। আগামী বছরের লোকসভা ভোটেও এই রকম কিছু হলে যে বিপদ, তা বিজেপি-র কাছেও অজানা নয়। ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য দলীয় সাংসদদের সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও বেশি করে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দলের প্রত্যেক সাংসদের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিন লক্ষ ফলোয়ার থাকতেই হবে।’’ মোদীর কথায়, সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানতে হলে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy