প্রার্থী: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন গোপালকৃষ্ণ গাঁধী। মঙ্গলবার সংসদে। ছবি: পিটিআই।
হলুদ পোস্টকার্ডে চিঠি লিখবেন গোপালকৃষ্ণ গাঁধী। সেই সঙ্গে ই-মেল করে একটি ভিডিও বার্তা। সব সাংসদকে আবেদন জানাবেন তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য।
‘দল ছাড়ার দুঃখ আর নরেন্দ্র মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রী করার কাজে সক্রিয় না থাকতে পারার আক্ষেপ’ সঙ্গে নিয়েই বিজেপির উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হয়েছেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। গোপালকৃষ্ণ ও তিনি দু’জনেই আজ মনোনয়ন পেশ করেছেন। এরই মধ্যে নীতীশ কুমার আর নবীন পট্টনায়ক বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে চলে গিয়েছেন গোপালকৃষ্ণের দিকে। রাষ্ট্রপতি ভোটেও যাঁরা বিজেপি প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের পক্ষে ছিলেন।
সংখ্যা যদিও এখনও অনুকূল নয়। তবে শক্তি বাড়তে দেখে অভিনব পথ নিলেন গোপালকৃষ্ণ। হাজারখানেক পোস্টকার্ড আনিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী-সহ সব দলের সব সাংসদকে আবেদন জানাবেন। পরাজয় প্রায় নিশ্চিত জেনেও কেন ভোটে দাঁড়ালেন? আজ নিজেই ব্যাখ্যা করলেন বিরোধী জোটের প্রার্থী।
বলেন, ‘‘আমি সাধারণ নাগরিক। কোনও দলের নই। তাই সাধারণের ভাবনা, ভয় জানি। আজ নাগরিক সমাজ ও রাজনীতির মধ্যে বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে। রাজনীতি ভেঙে পড়েছে। দেশে বিভাজন শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতের বিপদ সেটি।’’ সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘হারজিত নিয়ে ভাবছি না। চাইছি, নাগরিকের কণ্ঠ জোরালো হোক।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘জিতলেই বা কোন ‘তিস মার খান’ হব!’’ গোপালকৃষ্ণ উপরাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হতেই শিবসেনা তাঁর জাতীয়তাবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কেন রদ করতে চেয়েছিলেন তিনি? আজ তার জবাবও দিলেন উপরাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী। বললেন, ‘‘গাঁধীও মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে ছিলেন। আমিও মনে করি মৃত্যুদণ্ড ভুল।’’
রাষ্ট্রপতি বা উপরাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে তিক্ততা চাইছে না বিজেপি। তাই প্রধানমন্ত্রী তো বটেই, অমিত শাহও শিবসেনার মন্তব্য নিয়ে মুখ খোলেননি। বিজেপি বরং বেঙ্কাইয়ার জন্য আরও ভোট জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজেপি সূত্রের দাবি, উপরাষ্ট্রপতি পদের নাম ঘোষণায় দেরির জন্য কিছুটা ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী। নবীন-নীতীশ সঙ্গ ছাড়ার আগেই এটা করা যেত বলে মনে করেন তিনি। তবে বিজেপির মতে, নবীন গোপালকৃষ্ণকে সমর্থন করলেও তাঁর দলেরই জয় পন্ডা প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন। আরও দলে ফাটল ধরবে, অনায়াস জয় হবে বেঙ্কাইয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy