ফুলে সাজানো গাড়ি থেকে বরকে টেনে নামিয়েছিলেন তাঁর বন্ধুরা। কনের বাড়ির দরজার ঠিক সামনে। বন্ধুদের দাবি ছিল, তাঁদের সঙ্গে নাচতে হবে বরকেও। নাচ শুরুর কিছু ক্ষণ পরেই হঠাৎ বুক চেপে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বছর পঁচিশের শশীকান্ত পাণ্ডে। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক জানান, হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণের।
বিহারের কৈমুরের ভভুয়ার চৌবেপুর গ্রামে শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সারণপুর গ্রামে বাড়ি শশীকান্তের। তাঁর বাবার রেশন দোকান দেখভাল করতেন তিনি। চৌবেপুরে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাঁর। বিয়েবাড়িতে পৌঁছনোর পর হবু জামাইকে অ্যাপায়ন করেন তাঁর শাশুড়ি। কিন্তু মালাবদলের আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় শশীকান্তের।
আরও খবর
ট্রাকের ধাক্কায় বাসে আগুন, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত অন্তত ২২
ওই একই দিনে বিয়েবাড়িতে বিপত্তি ঘটে রোহতাসের করাগহর থানার গোনইলাটোলা গ্রামেও। পুলিশ জানায়, বিয়েবাড়ির একটি মঞ্চে নাচ করছিলেন বরযাত্রী দলের মহিলারা। আচমকা অপরিচিত তিন তরুণ মঞ্চে উঠে পড়ে। দেশি পিস্তল বের করে শূন্যে গুলি চালাতে থাকে তারা। আতঙ্ক ছড়ায় বিয়েবাড়িতে। বরের ভাই জিতেন্দ্র সিংহ (৩৩) তিন জনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। অভিযোগ, তখনই এলোপাথারি গুলি চালায় তারা। বুকে গুলি লাগে জিতেন্দ্রর। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দু’জনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। গণপিটুনির পর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতদের অন্য শাগরেদের খোঁজ করছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিহারে মদ বিক্রি বন্ধ হলেও, তিন হানাদারই মদ খেয়েছিল। তদন্তকারীরা জানান, মেডিক্যাল পরীক্ষায় তার প্রমাণ মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy