আহমদ পটেল ও বিজয় রূপানি।
কংগ্রেস নেতা আহমদ পটেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-যোগের অভিযোগ তুললেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। গুজরাতের আঙ্কলেশ্বর সর্দার পটেল হাসপাতাল থেকে এক জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পরেই এমন অভিযোগ তুললেন বিজয়। আর এই অভিযোগকে ঘিরেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা।
আরও পড়ুন: বেডে মৃতদেহ, দুর্গন্ধ, উড়ছে মাছি, পাশে চলছে চিকিৎসা!
রূপানির অভিযোগ, ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন পটেল। আর সেই হাসপাতাল থেকেই এক আইএস জঙ্গি ধরা পড়েছে। সুতরাং এর দায় পটেলকেই নিতে হবে। যদিও রূপানির এই দাবিকে নস্যাত্ করে ধৃত জঙ্গির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি তুলেছে কংগ্রেস। এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে বলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তারা। পটেল বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে হাতিয়ার করে শান্তিপ্রিয় গুজরাতিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা মোটেই কাম্য নয়।”
আরও পড়ুন: নেটওয়ার্ক ধরতে যদি চাও তো মগডালে যাও
সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রূপানি পটেলের পদত্যাগও দাবি করেন। সেই সঙ্গে বলেন, “ভাবুন তো যদি এই দুই জঙ্গি ধরা না পড়ত, তা হলে কী হত!” পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কংগ্রেস বলে, রাজ্যে নিরাপত্তার খামতি ঢাকতেই বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে এমন অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করছে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা পটেলকে সমর্থন করে বলেন, “২০১৪-তেই হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন পটেল। তাঁর সঙ্গে হাসপাতালের ওর কোনও যোগাযোগ নেই। যদি কেউ কোনও অপরাধে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার হয়, তা হলে ২০১৪-র সেই ট্রাস্টি বোর্ড এর জন্য দায়ী হয় কোন হিসাবে?”
গত বুধবারেই গুজরাত থেকে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে রাজ্য সন্ত্রাস দমন শাখা। ধৃতদের মধ্য এক জন ওই হাসপাতালেই ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করত। গত ৪ অক্টোবর কাজ থেকে ইস্তফা দেয় সে। মহম্মদ কাশিম নামে ওই জঙ্গি ধরা পড়ার পর হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়, তারা ওই কর্মীর জঙ্গিযোগ সম্পর্কে জানতেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy