গুলবার্গ হত্যা মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। শুক্রবার এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। গত ২ জুন এই মামলায় ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। ভিএইচপি নেতা অতুল বৈদ্য-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল। তবে তাঁদের সাজা কম হয়। এ দি মামলা শুরু হতেই দোষীদের মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত আইনজীবী। কিন্তু অভিযুক্তদের আইনজীবী এর তীব্র বিরোধিতা জানান।
এই গুলবার্গ সোসাইটি গণহত্যার মধ্যে দিয়েই গুজরাত জুড়ে শুরু হয়েছিল সংখ্যালঘু বিরোধী দাঙ্গার আগুন। আর এর ঠিক আগের দিনই ঘটেছিল গোধরার সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০২ গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের কামরার আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৫৯ জন করসেবকের। পর দিন সকাল ন’টা নাগাদ আমদাবাদের চমনপুরা এলাকায় মুসলিম বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে হাজির হয় এক বিশাল বাহিনী। এই চমনপুরা এলাকায় মুসলিমদের সংখ্যাই বেশি। দাঙ্গাবাজের চড়াও হয় গুলবার্গ সোসাইটির আবাসনে। গোটা চল্লিশেক বহুতল বা বাংলো রয়েছে এই সোসাইটিতে। বসবাসবাসকারীদের প্রায় সবাই উচ্চ-মধ্যবিত্ত মুসলিম ব্যবসায়ী পরিবার। আবাসনে জড়ো হওয়া বাহিনীকে দেখে ভয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিলেন তত্কালীন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির বাড়িতে। অভিযোগ, থানায় ফোন করেও কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। কয়েক ঘণ্টা ধরে হুমকি, গালিগালাজের পর দুপুর হতে না হতে হিংস্র হয়ে ওঠে সেই বাহিনী। দরজা বন্ধ করে দিয়ে আগুন লাগানো হয় একের পর এক বাড়িতে। চলতে থাকে মারধরও। সাংসদ জাফরি সহ ৩৫ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান। নানা ভাবে খুন করা হয় আরও ৩৪ জনকে। ঘণ্টা ছ’য়েক ধরে চলেছিল এই নৃশংস গণহত্যাকাণ্ড।
এই ঘটনায় মোট ৬৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। মামলা চলাকালীন মৃত্যু হয় ছ’জনের। এর মধ্যে ভিএইচপি নেতা অতুল বৈদ্য সহ ২৪ জনকে গত ২ জুন দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয় দেওয়া হয়েছে ৩৬ জনকে। ছাড়া পাওয়াদের মধ্যে আছেন বিজেপি নেতা বিপিন পটেল এবং পুলিশ ইনস্পেক্টর কেজি এর্দা।
আরও পড়ুন...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy