জল-যান: ভেলাচেরিতে শুক্রবার। ছবি: পিটিআই।
এ বারের ফিরতি বর্ষা উস্কে দিল গত বছরের বন্যার ভয়াবহ স্মৃতি।
গত বছর চেন্নাইয়ে রেকর্ড গড়েছিল বৃষ্টিপাত। এক শতকে এত বৃষ্টি দেখেনি এ শহর। বৃহস্পতিবারের টানা ভারী বর্ষণের পরে আবহবিদেরা আশঙ্কা করছেন, ওই রেকর্ড না ছুঁয়ে ফেলে ২০১৭। বৃষ্টির জেরে চেন্নাই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বহু ক্ষণ অন্ধকারে ডুবে ছিল বহু এলাকা। বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল বিদ্যুৎ পরিষেবা। তবে ট্রেন চলাচলে তেমন বিঘ্ন ঘটেনি। স্বাভাবিক রয়েছে বিমান পরিষেবাও।
আরও পড়ুন: আসন ভরাতে সক্রিয় হবে রাজ্যই: পার্থ
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাড়ুর উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় এই অতিরিক্ত বর্ষণ। মৌসুমী বায়ু এখন ফিরতি পথে। চেন্নাইয়ে প্রতি বছরই এই সময় বৃষ্টি হয়েই থাকে। কিন্তু নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। গত দু’দিনে শুধু চেন্নাই শহরেই ১৪০ থেকে ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর তাতেই বিপত্তি ঘটেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুজল দাঁড়িয়ে যায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আগামী দু’দিনও পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুর বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্ত ভাবে, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তামিলনাড়ু বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে গত কাল শহরবাসীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়। চেন্নাইয়ের বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকেও ছুটি ঘোষণা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চেন্নাইয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসনের টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উপচে গিয়েছিল বাসিন্দাদের অনুরোধে— ‘জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করুন’। পুলিশ সূত্রের খবর, তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে ১১৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে হেল্প-লাইনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy