Advertisement
১১ মে ২০২৪

আসন ভরাতে সক্রিয় হবে রাজ্যই: পার্থ

ঐতিহ্যবাহী ওই প্রতিষ্ঠানে সব আসন ভরানো গেল না কেন, সেই বিষয়ে প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্টও তলব করেছিলেন তিনি।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৮
Share: Save:

স্নাতক বা স্নাতকোত্তর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও স্তরে আসন ফাঁকা রাখা যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু প্রেসিডেন্সি নয়, আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন খালি থাকায় শুক্রবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, পরের বছর থেকে উচ্চশিক্ষা দফতর এ বিষয়ে সক্রিয় হবে।

এ দিন সিস্টার নিবেদিতা মহিলা সরকারি কলেজের ভবনের একাংশের উদ্বোধনে গিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে এই বার্তা দেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনেক আসন খালি পড়ে থাকায় সম্প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী ওই প্রতিষ্ঠানে সব আসন ভরানো গেল না কেন, সেই বিষয়ে প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্টও তলব করেছিলেন তিনি।

প্রেসিডেন্সি সূত্রের খবর, রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তাতে প্রধানত তিনটি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, মানের সঙ্গে আপস করে আসন ভরানো সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, যাঁরা ভর্তি হয়েও ক্লাসে যোগ দেননি, তাঁদের জন্য কিছু দিন অপেক্ষা করাটাই দস্তুর। তৃতীয়ত, বিভিন্ন বিষয়ে যে-সব আসন খালি আছে, তার বেশির ভাগই সংরক্ষিত।

শিক্ষা শিবিরের একাংশের প্রশ্ন, অপেক্ষা করা হবে কত দিন? একটা সময়ের পরে সংরক্ষিত আসনও তো সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যায়। সেটা করা হচ্ছে কি?

এ দিনের অনুষ্ঠানের পরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, তিনি প্রেসিডেন্সির রিপোর্ট পেয়েছেন। আসন ভরানোর জন্য প্রশাসনিক ও আইনি সম্ভাবনা আছে কি না, উচ্চশিক্ষা সচিবকে তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি ছাড়াও আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন খালি থাকছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘৫০ শতাংশ আসন খালি পড়ে থাকবে, এটা বরদাস্ত করা যায় না।’’ এর ফলে সরকারি অনুদানেরও সদ্ব্যবহার হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন পার্থবাবু।

পার্থবাবু এ দিনের অনুষ্ঠানে জানান, ভর্তিতে কোনও বৈষম্য চলবে না। সকলেই যাতে ভর্তি হতে পারে, সে-দিকে লক্ষ রাখতে পারে। আগামী বছর থেকে শিক্ষা দফতরের কর্তারা এ বিষয়ে তৎপর হবেন। পড়ুয়ারা যাতে ভিন্‌ রাজ্যে চলে না-যান, সেই জন্য তো কলেজের সংখ্যা বাড়াচ্ছে সরকার। তৃণমূলের আমলে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ও তৈরি হয়েছে। সরকারের শীর্ষ স্তর থেকে পড়ুয়াদের আবেদন জানানো হচ্ছে, তাঁরা যেন রাজ্য ছেড়ে না-যান। তার পরেও আসন ভর্তি না-হওয়ায় সরকারের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, এই সব কারণেই সরকার এ বার তৎপর হচ্ছে।

ভর্তি ছাড়াও মন্ত্রী এ দিন বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ স্তরে মহিলাদের ভূমিকার কথা তোলেন। জানান, ওই স্তরে মহিলাদের নিয়োগে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE