গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।
এ যেন সর্ষের মধ্যে ভূত!
রাজ্যে বার্ধক্যভাতা প্রাপকের তালিকায় রয়েছে ১৯ লক্ষ ৮০ হাজারের নাম। কিন্তু, তার মধ্যেই রয়েছেন ৬৫ হাজার ৭৪৩ জন মৃত ব্যক্তি আর ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯৩৫ জন ভুয়ো যুবক! সম্প্রতি বার্ধক্যভাতা সংক্রান্ত এমন কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ।
সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় যাঁরা বার্ধক্যভাতা পান, তাঁদের অ্যাকাউন্ট আগামী ৬ মাসের মধ্যে পুনরায় যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলের দিকে। প্রাক্তনের বিরুদ্ধে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে তিনি এ সব কেলেঙ্কারিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। সরকারি কর্তাদের মদতও জুগিয়েছেন।’’
পঞ্জাবে ওই প্রকল্পের আওতায় নাম রয়েছে মোট ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার জনের। যাচাই করতে গিয়ে এমন ৩ লক্ষেরও বেশি ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যাঁদের প্রত্যেকেই হয় বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন, নয়তো ভুল ঠিকানা দিয়ে এই সুবিধা ভোগ করছেন। রাজ্য জুড়ে এমন ভুয়ো ভাতাভোগীর সন্ধান মিললেও তার সিংহ ভাগই রয়েছে পঞ্জাবের মালবাতে। ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়েই যে শুধুমাত্র এই কেলেঙ্কারিতে সায় দেওয়া হয়েছে এ থেকেই তা পরিষ্কার বলে অভিযোগ। কারণ, পঞ্জাব বিধানসভার ১১৭ আসনের মধ্যে মালবায় রয়েছে ৬৯টি আসন।
আরও পড়ুন: মুখ ফিরিয়েছিল ব্যাঙ্ক, দরিদ্র শ্রমিকের ছেলে পেল বার্ষিক আট লাখের চাকরি
এই প্রকল্পে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। যার জন্য প্রতি বছর রাজকোষ থেকে ৪৯ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা রয়েছে। পঞ্জাবের রাজকোষের হাল দিন দিন খারাপ হওয়ার পিছনে এই পেনশন কেলেঙ্কারিরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে, জানান মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy