পরীক্ষায় নকল করার প্রবণতা রুখতে আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষায় ডিজিটাল অথবা স্মার্ট ওয়াচ পরা নিষিদ্ধ করল বোর্ড।
আইসিএসই বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ এবং সচিব জেরি অ্যারাথুন সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে এ ব্যাপারে নির্দেশ পাঠিয়েছেন। বলা হয়েছে, ডিজিটাল অথবা স্মার্ট ওয়াচ নয়, শুধু অ্যনালগ ঘড়ি পরেই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবেন।
শনিবার বোর্ডের এক প্রতিনিধি জানান, ডিজিটাল অথবা স্মার্ট ঘড়িতে তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে, ক্যালকুলেটরও থাকে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। প্রসঙ্গত বছর পাঁচেক আগে থেকেই সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষায় কোনও রকম ঘড়ি পরে যাওয়া যায় না। ২০১৩ সাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ডিজিটাল ঘড়ি পরা নিষিদ্ধ হয়েছে বলে জানালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যণময় গঙ্গোপাধ্যায়।। সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতেও ডিজিটাল ঘড়ি পরে যাওয়া যায় না। এ বার আইসিএসই বোর্ডও সেই পথে হাঁটল।
রাজ্যের আইসিএসই বোর্ডের স্কুলগুলির সংগঠনের সভাপতি এবং রামমোহন মিশন স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস এ দিন বলেন, ‘‘প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নকল করার প্রবণতা বাড়ছে। তাই বোর্ডের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’ সিবিএসই বোর্ডের অধীনস্থ ভারতীয় বিদ্যাভবন স্কুলের অধ্যক্ষ রেখা বৈশ্য জানালেন, পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীরা কোনও রকম ঘড়ি পরেই আসতে পারেন না। সময় দেখার জন্য পরীক্ষার হল-এ বড় দেওয়াল ঘড়ি রাখতে হয়। এ নিয়ে বছর পাঁচেক আগেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল তাঁদের। তবে এ রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ডিজিটাল ঘড়ি এখনও বন্ধ হয়নি। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, স্মার্টঘড়ি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এখনও তাঁরা চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy