প্রতীকী ছবি।
পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধটা লাগল রবিবার সকালে। মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে নিহত হলেন ১৬ জন মাওবাদী।
এটা কেন্দু পাতা তোলার সময়। কেন্দু পাতা তোলার জন্য প্রতি বছরই এই সময়ে গড়চিরৌলির টাডগাঁও এলাকার বরিয়া জঙ্গলে ঢোকেন মাওবাদীরা। কেন্দু পাতা তুলে বিক্রি করে সংগঠন চালানোর জন্য টাকার জোগাড় করেন তাঁরা। সেই কারণে বেশ কয়েক দিন ধরেই জঙ্গল এবং জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় কড়া নজর রাখছিল পুলিশ। এ দিন মাওবাদীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। নিহত ১৬ জন মাওবাদীর মধ্যে দু’জন শীর্ষস্থানীয় নেতা রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ সতীশ মাথুরের দাবি, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটাই গড়চিরৌলির সবচেয়ে বড় মাওবাদী-বিরোধী অভিযান।’’
এ দিনই বিহারের পটনায় একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘মাওবাদীদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকেছে। মাওবাদকে দেশ থেকে মুছে ফেলতে হবে।’’ মাওবাদী হামলা এবং তার ফলে প্রাণহানির সংখ্যাও কমেছে বলেও দাবি করেছেন রাজনাথ।
আরও পড়ুন- পুলিশ-দখলে ভাঙড়, জালে নকশাল নেত্রী
আরও পড়ুন- ভাঙড়ের নতুনহাটে সভা করল নকশালরা
এ দিনের অভিযানে অংশ নেন গড়চিরৌলি পুলিশের ‘সি ৬০’ বাহিনীর কম্যান্ডোরা। ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ শরদ সেলার জানান, গোপন সূত্রে মাওবাদীদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে এ দিন সকালে জঙ্গলে অভিযান শুরু হয়। সাড়ে এগারোটা নাগাদ পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মাওবাদীরা। জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের ঘণ্টাখানেকের গুলিযুদ্ধের পরে উদ্ধার হয় ১৬ জন মাওবাদীর দেহ। গোটা এলাকা ঘিরে রেখে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র।
ডিআইজি (নকশাল রেঞ্জ), অঙ্কুশ শিন্দে জানিয়েছে, নিহত মাওবাদীদের মধ্যে দু’জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁরা হলেন জেলাস্তরের ‘কম্যান্ডার’ সাইনাথ এবং সাইনু। ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই দুই মাওবাদীর মৃত্যুকে নিজেদের বড়সড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, একই গুলিযুদ্ধে দু’জন শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতার মৃত্যুর নজির প্রায় নেই বললেই চলে। এই ‘সাফল্যের’ জন্য সি ৬০-র কম্যান্ডোদের অভিনন্দন জানিয়েছেন সতীশ মাথুর। তবে গত বছরেই বিভিন্ন সময়ে গড়চিরৌলিতে পুলিশের গুলিতে ১৯ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy