দ্বিতীয় দফার শাসনের শুরুর মুখেই বিশ্বের সব চেয়ে বৃহৎ বাহিনী ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’কে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। এর পাশাপাশি তাদের চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি বিশ্বস্ত থাকার কথাও ফের মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
গোটা পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছে ভারত। ডোকলাম কাণ্ডে যথেষ্ট হাত পুড়েছে নয়াদিল্লির। তাই চটজলদি কোনও রণংদেহি প্রতিক্রিয়া দিয়ে পরিস্থিতিকে এখনই জটিল করতে চাইছে না মোদী সরকার। বরং চিন-ভুটান সীমান্তে বেজিং সেনা বাড়াচ্ছে, এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেছেন, ‘‘গোটা পরিস্থিতি ভাল করে খতিয়ে না দেখে কোনও ত্রাস ছড়ানোর প্রয়োজন নেই। যেখানে দু’দেশের সেনা মুখোমুখি হয়েছিল সেখানে কোনও নতুন ঘটনা ঘটেনি। স্থিতাবস্থাই বহাল রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ৭ কোম্পানি বাহিনী সরছে, থাকছে বাকি ৮
ভারত এটা জানে যে চিনে দল, সেনাবাহিনী এবং দেশের শাসন— সবের ভারই এখন চিনফিংয়ের হাতে। আজ কমিউনিস্ট পার্টির সদ্যসমাপ্ত কংগ্রেস প্রসঙ্গে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নয়াদিল্লি। রভিশের কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী চিনফিংকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। আমরা আশা করছি যে ওই কংগ্রেসে যে নীতি নেওয়া হয়েছে, তা ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং সুস্থিতিকে দৃঢ় করবে।’’
গত কাল কাজ শুরুর দিনই সেনাবাহিনীর শীর্ষ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চিনফিং। তবে তার মধ্যেও রয়েছে বিতর্ক। সরকারি সিসিটিভি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের ওই বৈঠকে আগেকার চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ফাং ফেংঘুই এবং রাজনৈতিক কাজ সংক্রান্ত দফতরের অধিকর্তা জেনারেল ঝাং ইয়াংয়ের অনুপস্থিতি চোখে পড়েছে অনেকেরই। চিনফিংয়ের প্রথম দফায় এই দুই অফিসার সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সদস্য ছিলেন। কিন্তু এ বার পার্টি কংগ্রেসের আগেই তাঁরা প্রতিনিধি-তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। একটি অংশের দাবি, চিনফিংয়ের দুর্নীতি দমন অভিযানের কোপ পড়েছে তাঁদের উপরে।
এ বার সেনাবাহিনীর উঁচুতলার অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বস্ততার উপরে বেশি জোর দিয়েছেন চিনফিং। তিনি বলেছেন, ‘‘একুশ শতকের মাঝামাঝি আমাদের সেনাবাহিনীকে বিশ্বমানের হয়ে উঠতে হবে।’’
এর আগের বার যখন ক্ষমতায় বসেছিলেন, তখনই তিন লক্ষ সেনার বাহিনীকে ছোট করে দু’লক্ষ তিরিশ হাজারে নামিয়ে এনেছিলেন চিনফিং। বিদেশে চিনের প্রভাব বাড়াতে গুরুত্ব দিয়েছেন নৌবাহিনীর উপরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy