সম্পর্কে মন্দা?
কামানের গোলায় নয়, কূটনৈতিক ভাবেই উরি হামলার জবাব দিচ্ছে ভারত। আর তার পয়লা ধাপ হিসেবে পাকিস্তানকে দেওয়া ‘সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ’ (মোস্ট ফেভার্ড নেশন বা ‘এমএফএন’)-এর মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার ভাবনা-চিন্তা চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ স্তরে। এখনই পাকিস্তানের ‘এমএফএন’ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হলে তার ভাল, মন্দ কী কী হতে পারে, তা খতিয়ে দেখতে শীর্ষ কূটনীতিক ও আমলাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের ‘এমএফএন’ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা ওই বৈঠকেই নেওয়া হবে। ১৯৯৬ সালে আগ বড়িয়েই প্রথম পাকিস্তানকে ‘এমএফএন’ মর্যাদা দেয় ভারত। কিন্তু কুড়ি বছর পেরিয়ে গেলেও ইসলামাবাদ এখনও ভারতকে ‘এমএফএন’ মর্যাদা দেয়নি।
যদিও রাজধানীর রাজনৈতিক মহলের খবর, উরি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার চাপটা শাসক দল বিজেপি-র ভেতর থেকেই উত্তরোত্তর জোরালো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওপর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, এমন সিদ্ধান্ত যদি নিতেই হয়, তা হলে তার ওপর প্রশাসনিক কর্তা ও কূটনীতিকদের একটা ‘সিলমোহর’ লাগানো থাকুক। যাতে এই সিদ্ধান্তের গায়ে ‘দলীয় রাজনীতি’র ছাপ লেগে গিয়ে পরে তা ‘ব্যুমেরাং’ হয়ে না ফেরে বিজেপি-র দিকে। তাই ওই বৈঠক।
পাকিস্তানের ‘এমএফএন’ মর্যাদা এখনই কেড়ে নেওয়া উচিত কি না, তা কেড়ে নেওয়া হলে তার আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা নিয়ে সোমবারই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের সঙ্গে ৬টি নদীর জলবণ্টন চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার বিষয়টি নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘‘রক্ত আর জল তো এক সঙ্গে বইতে পারে না।’’
আরও পড়ুন- কাশ্মীর ভারতেরই, রাষ্ট্রপুঞ্জে জবাব সুষমার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy