কানাগরাজের পরিচয়পত্র।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই রাজ্যে জয়ললিতার কোরানাদ টি এস্টেটের রক্ষী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার তামিলনাড়ুর সালেম জেলায়। ওই দুর্ঘটনায় মারা যান রক্ষী খুন ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত কানাগরাজ । কানাগরাজ ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রয়াত মন্ত্রী জয়ললিতার গাড়ির চালক ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতে কানাগরাজ বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ি তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। ঠিক তার পর দিনই অর্থাৎ শনিবার আরও একটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে কেরলে। যাতে গুরুতর জখম হন কানাগরাজের ঘনিষ্ঠ এবং রক্ষী খুন ঘটনার আর এক অভিযুক্ত সায়ন। পরিবারের সঙ্গে কোয়েম্বত্তূর থেকে ত্রিশূরের দিকে যাওয়ার সময় একই ভাবে দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ি সায়নের গাড়িকে ধাক্কা মারে। সায়ন মারা না গেলেও ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সায়নের স্ত্রী এবং মেয়ের।
রক্ষী খুনের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গাড়ি ধাক্কা দেওয়াটা নিছক দুর্ঘটনা বলে মনে করছে না পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, খুনের জন্যই এই দুর্ঘটনার ছক কষা হতে পারে।
২৪ এপ্রিল রাতে জয়ললিতার কোরানাদ টি এস্টেটের রক্ষী ওম বাহাদুর খুন হন। পরে গ্রামবাসীদের থেকে পুলিশ জানতে পারে, দু’টি এসইউভি-তে চেপে দুষ্কৃতীদের একটি দল ওই এস্টেটে ঢুকে ছিল। কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য হাতাতেই তারা এসেছিল বলে পুলিশের অনুমান। তাদের বাধা দিতে গেলে আরও এক রক্ষী শ্যাম বাহাদুর জখম হন।
আরও পড়ুন: তিন তালাক নিয়ে রাজনীতি নয়, মুসলিম সমাজকে আর্জি মোদীর
এই ঘটনার পর পুলিশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে আটকও করা হয়। কানাগরাজ এবং সায়নও সেই তালিকায় ছিলেন। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকায় তাঁদের থানায় ডেকে একবার জি়জ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানায়। পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তেরা যাতে কোনও গোপন তথ্য ফাঁস করে দিতে না পারে তাই পরিকল্পনা করেই ‘খুন’ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy