কেজরীবাল-জঙ্গের লড়াইয়ে ফের নয়া মাত্রা। বিতর্ক এ বার পুলিশ নিয়োগে। দিল্লি পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায় সম্প্রতি বিহার থেকে পাঁচ পুলিশকর্মী নিয়োগ করেছে আপ সরকার। আজ তা নিয়েই অরবিন্দ কেজরীবালকে বিঁধেছেন নজীব জঙ্গ। উপ-রাজ্যপালকে এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিনা, প্রশ্ন উঠছে। আপের দাবি, এই নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ারেই পড়ছে।
রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশকার হাতে থাকবে, এ নিয়ে এত দিন আপ নেতাই মূলত সুর চড়িয়েছিলেন উপ-রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। এ বার কেজরীর বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন জঙ্গ। আপ সূত্রের খবর, দুর্নীতি দমন নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমারের সঙ্গে কথা বলেন কেজরীবাল। তার পরেই দিল্লি পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায় যোগ দেন বিহারের তিন ইনস্পেক্টর ও দুই সাব-ইনস্পেক্টর। নয়া বিতর্কের সূত্রপাত এই নিয়োগ ঘিরেই। দিল্লি পুলিশেরই শাখা, অথচ নিয়োগ ভিন্ রাজ্য থেকে। এখানেই আপত্তি নজীবের। তাঁর দফতর সূত্রের দাবি, দিল্লি পুলিশের এই বিশেষ শাখার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে উপ-রাজ্যপালের হাতেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতেও নাকি তেমনটাই নির্দেশ আছে বলে দাবি নজীব-ঘনিষ্ঠদের।
নজীবের দফতরের খবর, রাজ্যের ভিজিল্যান্স দফতর থেকে এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পেলেই মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ার নিয়ে ফের আলোচনায় বসবেন উপ-রাজ্যপাল। দিল্লির বিজেপি নেতাদেরও বক্তব্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া ভিন্ রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়োগ বেআইনি, মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ারের বাইরে।
তবে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়োগ আগেও হয়েছে। প্রয়োজনে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে পুলিশ নিয়োগের ক্ষমতা আছে রাজ্যের। কেন্দ্র অহেতুক এ নিয়ে জলঘোলা করছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, নজীবকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে কেন্দ্র। ‘আদালতই ফয়সালা করবে’— আপ নেতারা এমনটা বলে আসছেন বটে, কিন্তু লড়াই থামার ইঙ্গিত নেই। টালমাটাল এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘লড়াইটা আসলে ব্যর্থতারই নামান্তর। কেন্দ্র, রাজ্য বা উপ-রাজ্যপাল এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy