তালগোল: ধসে চাপা পড়া গাড়ি ও বাসের ভগ্নাবশেষ। মাণ্ডী-পঠানকোট জাতীয় সড়কে। ছবি: পিটিআই।
মাণ্ডী-পঠানকোট জাতীয় সড়ক বেয়ে মানালি যাওয়ার পথেই ছোট্ট গ্রাম কোটরূপী। শনিবার রাতে সেখানে চা-গুমটিতে জিরিয়ে নিতে থেমেছিল গুটিকয়েক গাড়ি। আচমকা মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ধস নেমে তলিয়ে গেল পঞ্চাশের বেশি যাত্রী-সহ দু’টি বাস ও কয়েকটি গাড়ি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার রাত পর্যন্ত ৪৬ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। চাপা পড়া বাস দু’টির মধ্যে একটি ভলভো বাসে ৮ জন যাত্রী ছিলেন। গুরুতর জখম ৫ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য বাসে অন্তত ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া দেহগুলির মধ্যে মাত্র ২৩টি শণাক্ত করা গিয়েছে।
এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ মৃতদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আহতদের চিকিৎসার খরচ বহনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন নিয়ে দুর্নীতি চক্রের হদিস গোরক্ষপুরে
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ প্রবল শব্দে পাহাড়ের গা বেয়ে পাথর-বালির ধস নামতে শুরু করে। নিমেষের মধ্যে সেই ধসের স্রোতে তলিয়ে যায় যাত্রী-সহ দু’টি বাস এবং কয়েকটি গাড়ি। খাড়াই ঢাল বরাবর প্রায় ৮০০ মিটার নীচে বাস দু’টিকে টেনে নিয়ে যায় পাথর-কাদার ধস। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেনা, পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধার কাজে হাত লাগান।
উত্তরাখণ্ডের মাদরামা গ্রামেও আজ ধসে চাপা পড়েছে একটি বাড়ি। এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার বাবা-মা এখনও নিখোঁজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy