ছবি: গেটি ইমেজেস।
আবার সে এসেছে ফিরিয়া!
ফিরে এসেছে আতঙ্কও। চিতাবাঘের আতঙ্ক এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে বেঙ্গালুরুকে।
রবিবার বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে হোয়াইটফিল্ড এলাকার ভিবজিওর স্কুলে ঢুকে পড়েছিল একটি চিতাবাঘ। তাকে ধরার পরে সকলে ভেবেছিলেন আতঙ্কের বোধ হয় ইতি হল। কিন্তু না! মঙ্গলবার সন্ধে থেকে শুরু হয়েছে চিতাবাঘ ওবং মানুষের লুকোচুরি খেলা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিবজিওর স্কুলের কাছেই ফের দু’টি চিতাবাঘের দেখা মিলেছে বলে খবর। মঙ্গলবার রাতেই আর এক ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি চিতাবাঘ দেখেছেন। এর পর গত কাল সন্ধেতেও ফের স্কুল লাগোয়া এলাকায় চিতাবাঘের দেখা মেলার
খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই লুকোচুরিতে এখনও সাফল্যের মুখ দেখেনি বন দফতর।
সময় যত গড়িয়েছে, আতঙ্ক তত ছড়িয়েছে। কারণ বন দফতরের কর্মীদের দু’দিনের চেষ্টাতেও ধরা যায়নি কোনও চিতাবাঘ। আতঙ্কে আজ বেঙ্গালুরুর পূর্ব শহরতলির ১৩৫টি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এক শিক্ষাকর্তা বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরু পূর্ব শহরতলিতে অনেকগুলি সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল রয়েছে। নিরাপত্তার কারণে বৃহস্পতিবার সেই সব স্কুল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’’ তবে শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ছুটি শুধু পড়ুয়াদের জন্য। শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে আসতে হবে।
সাধারণ মানুষকেও খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে বারণ করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক মহিলা শ্রমিক দাবি করেন, ভিবজিওর স্কুল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তিনি দু’টি চিতাবাঘ দেখেছেন। সে দিন রাতেই এক ব্যক্তি দাবি করেন, ভিবজিওর স্কুলের পিছন দিকে তিনি একটি চিতাবাঘ দেখেছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই সব এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু সাফল্য আসেনি। বুধবারও ভিবজিওর স্কুল-সহ ওই এলাকার প্রায় ৮০টি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর পর আর এক মহিলাও দাবি করেন, বুধবার সন্ধ্যায় তিনি কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় একটি চিতাবাঘ দেখেছেন।
বসে নেই বন দফতরের কর্মীরাও। এ দিন বন দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ভিবজিওর স্কুলের পিছন দিকে তাঁরা কিছু চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু সেগুলি রবিবার ভিবজিওর স্কুলে যে চিতাবাঘটি ঢুকে পড়েছিল তার পায়ের ছাপ, নাকি অন্য কোনও চিতাবাঘের, তা স্পষ্ট নয়। এক বনকর্তা বলেন, ‘‘বেশ কয়েক জন আমাদের জানিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চিত যে তাঁরা চিতাবাঘ দেখেছেন। তাই স্কুলের পিছন দিকে খাঁচার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ খাঁচা না-হয় পাতা গেল, কিন্তু কখন চিতাবাঘ সেখানে এসে ঢুকবে, তা তো কারও জানা নেই। ফলে আতঙ্কেরও ইতি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy