মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
আধার কার্ড মানুষের গোপনীয়তার পরিপন্থী। এ অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই তুলেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করেছে তাঁর সরকারের শ্রম দফতর। সম্প্রতি সরকারি ওয়েবসাইটে আধারের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে আধার প্রস্ততকারক সংস্থা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই)। তার পরই সোমবার ফের বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন মমতা।
আরও পড়ুন
রাহুলকে সভাপতি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল কংগ্রেসে
এ দিন দুপুরে নবান্ন থেকে বেরচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। সদ্য প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির প্রতি শোকজ্ঞাপন করার পর তিনি আধার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মমতার কথায়, ‘‘আধার অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমি নিজে ইউনিক কার্ডের পক্ষপাতি। একটাই কার্ড হোক। ১০টা কার্ড তো আর হয় না। কিন্তু, আধার কার্ডের নাম করে মানুষের তথ্য ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটা বিপজ্জনক।’’ পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়েও তাদের একহাত নেন। মমতা বলেন, ‘‘হঠাৎ করে রাজ্য ভাগ করব! হঠাৎ করে মুদ্রা পরিবর্তন! একটা পাল্টে অন্য মুদ্রা চালু করে দেব। এটা খামখেয়ালিপনা। মহম্মদ বিনতুঘলকের মতো কাজ করা।’’
আরও পড়ুন
প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি
আধারে গোপনীয়তা ফাঁস নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তথ্যের অধিকার আইনে এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি ইউআইডিএআই জানিয়েছে, আধারের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে সরকারি ওয়েবসাইটেই। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির প্রায় ২১০টি ওয়েবসাইটে আধার প্রাপকদের নাম ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। পরে সে তথ্য সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে তারা নিজে থেকে আধার প্রাপকদের সম্পর্কে কোনও তথ্য জনসমক্ষে আনেনি বলে ওই সংস্থার দাবি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুবিধাপ্রাপকদের কথা জানাতে গিয়ে আধারের তথ্য ওয়েবসাইটগুলিতে দিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি নজরে আসায়, তা সরিয়েও দেওয়া হয়। ঠিক কোন সময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা যদিও জানানো হয়নি।
এর পরেই মমতার এ দিনের মন্তব্য, ‘‘এটা ডেঞ্জারাস ফর দ্য সোসাইটি। ডেনঞ্জারাস ফর দ্যা ইনডিভিজুয়াল। ডেঞ্জারাস ফর দ্য কান্ট্রি। এটা মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বিপদজ্জনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy