মণিপুর বিধানসভা ভোটে কোনও প্রভাবই ফেলতে পারলেন না ইরম শর্মিলা চানু। মণিপুরের থৌবল কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিংহের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এ বারও বাজিমাত করলেন ওকরামই।তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ইবোবিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন শর্মিলা। সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ ১৬ বছরের অনশন প্রত্যাহার করে মূল স্রোতের রাজনীতিতে এসেছিলেন শর্মিলা। তাঁকে ভোটে জেতাতে ডাক দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আর্থিক সাহায্যও করেছিলেন। কিন্তু শর্মিলা কোনও দাগই কাটতে পারলেন না। ধরাশায়ী শর্মিলা। ভোটে দাঁড়িয়ে মাত্র ৯০টি ভোট পেয়েছেন তিনি। সেখানে ওকরামের প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৬৪৯টি।এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে আছেন বিজেপি প্রার্থী লেইথানথেম বসন্ত সিংহ।
মণিপুরে ভোটগণনার প্রবণতা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ৬০ টি আসনের বিধানসভা। ম্যাজিক ফিগার ৩১। এখনও পর্যন্ত প্রায় সমানে সমানে এগোচ্ছে কংগ্রেস ও বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছে ২৭টি আসন। বিজেপি জয় পেয়েছে ২২টি আসনে। শর্মিলার দল পিআরজিএ এখনও পর্যন্ত সে ভাবে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। অন্যান্য দলগুলি ৬টি আসনে জয় পেয়েছে। এনপিএফ-এর দখলে ৪টি আসন।
আরও পড়ুন: বেনজির গেরুয়া ঝড় উত্তরপ্রদেশে, শোচনীয় ভরাডুবির মুখে সপা-কংগ্রেস-বসপা
পঞ্জাব দখলের পথে কংগ্রেস, ভরাডুবি অকালি-বিজেপি জোটের
মণিপুরে কোনও দলই একক ভাবে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারবে না, এমনটাই বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী রিপোর্ট ছিল। সরকার গঠনে ছোট দলগুলি বড় ভূমিকা নিতে পারে। গত ১৫ বছর ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় ২০১২-র বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস একাই পেয়েছিল ৪২টি আসন। তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৭টি আসন। এ বার অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত আগে থেকেই ছিল কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy