—প্রতীকী চিত্র।
বর্ণিকা কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই পূর্ব উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় গলার নলি কেটে খুন করা হল এক বছর সতেরোর কিশোরীকে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত স্থানীয় গ্রাম প্রধান কৃপা শঙ্কর তিওয়ারির ছেলে প্রিন্স।
বাজাহা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার ৮ অগস্ট। নিহত কিশোরী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী, নাম রাগিনী দুবে।
রাগিনীর দিদি নেহার চোখের জল বাঁধ মানছিল না। কাঁদতে কাঁদতে নেহা বলল, “সামনের বছরই ওর বারো ক্লাসের ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। এর পর বড় কোনও শহরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এয়ার হস্টেস হওয়ার ইচ্ছে ছিল বোনের।” কিন্তু এয়ার হস্টেস হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হল না রাগিনীর।
আরও পড়ুন:
উত্তরপ্রদেশে তরুণী হত্যায় ধৃত স্থানীয় বিজেপি নেতার ছেলে
রাতের গুরুগ্রামে যুবতীর বাইক তাড়া করল গাড়ি
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, গত এক মাস ধরেই প্রিন্স ও তার দলবল উত্যক্ত করছিল রাগিনীকে। রাগিনীর পরিবারের দাবি, প্রিন্সের বাবা কৃপাশঙ্কর তিওয়ারি ওই গ্রামে যথেষ্ঠ প্রভাবশালী হওয়ায়, তাঁর চাপেই থানায় যেতে পারেননি তাঁরা। বারবার উত্যক্ত করা ঘটনা ঘটলেও, বারবারই ক়ৃপাশঙ্কর কথা দিয়েছিলেন, এর পর এমনটা আর যাতে না হয় তিনি দেখবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর ছেলে এবং ছেলের বন্ধুদের হাতে খুন হতে হল রাগিনীকে। খুনের পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তদন্ত, ধরপাকড় শুরু করেছে। কিন্তু রাগিনী এবং প্রিন্সের সম্পর্ক ছিল ছিল বলে বিবৃতি দিয়েছে তারা। প্রেমে জটিলতার কারণেই রাগিনী এবং প্রিন্সের বচসা হয়। এর পরই খুন হয় রাগিনী। এটাই পুলিশের মত। যদিও রাগিনী এবং প্রিন্সের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মিথ্যা বলছে বলেই দাবি করেছেন রাগিনীর বাবা জিতেন্দ্র কুমার দুবে।
ঘটনায় প্রিন্স তিওয়ারি ও তার এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এক অভিযুক্ত বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে মঙ্গলবার থেকেই গ্রাম প্রধান কৃপা শঙ্কর পলাতক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy