Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অসমের রাজ্যপাল বনোয়ারি লাল, মণিপুরে নাজমা হেপতুল্লা

এক বছর আট মাস পরে স্থায়ী রাজ্যপাল নিয়োগ হল অসমে। নাগপুরের তিন বারের সাংসদ বনোয়ারি লাল পুরোহিতকে অসমের রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত করা হল। একই সঙ্গে মণিপুরের রাজ্যপাল হিসেবে নাজমা হেপতুল্লার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালকৃষ্ণ আচার্য অসমের ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল ছিলেন।

নাজমা হেপতুল্লা-বনোয়ারি লাল পুরোহিত

নাজমা হেপতুল্লা-বনোয়ারি লাল পুরোহিত

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩০
Share: Save:

এক বছর আট মাস পরে স্থায়ী রাজ্যপাল নিয়োগ হল অসমে। নাগপুরের তিন বারের সাংসদ বনোয়ারি লাল পুরোহিতকে অসমের রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত করা হল। একই সঙ্গে মণিপুরের রাজ্যপাল হিসেবে নাজমা হেপতুল্লার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালকৃষ্ণ আচার্য অসমের ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল ছিলেন।

বনোয়ারি লাল ১৯৮৪ এবং ১৯৮৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ হয়েছিলেন। পরে অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ার অভিযান শুরুর সময় তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে বিজেপির হয়ে লোকসভায় লড়তে নেমে পরাজিত হন বনোয়ারি লাল। তবে ১৯৯৬ সালে জিতে ফের একাদশ লোকসভার সদস্য হন তিনি। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে তিনি হেরে যান। নাগপুরের দৈনিক সংবাদপত্র-গোষ্ঠী ‘হিতবাদ’-এর মালিক বনোয়ারি লাল পুরোহিত।

অন্য দিকে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাজমা হেপতুল্লা মণিপুরের স্থায়ী রাজ্যপাল হচ্ছেন। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে মেঘালয়ের রাজ্যপাল ভি সম্মুগনাথম মণিপুরের রাজ্যপাল হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। ৭৫ বছরের বেশি বয়সের কেউ মোদী মন্ত্রিসভায় থাকবেন না—এই নীতি মেনেই নাজমা চলতি বছর জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। প্রাক্তন কংগ্রেসি নাজমা ১৯৮৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বার রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ষোল বছর তিনি ছিলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারপার্সন।

এ দিকে, মণিপুরে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনে এসে মণিপুরের ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল ভি সম্মুগনাথম বিতর্কে জড়ালেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মণিপুরের সংস্কৃতি জগতের দিকপালরা। রাজ্যপাল ভাষণে অতিথিদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সংস্কৃতি কাকে বলে তা নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে লিখে আমাকে জমা দেবেন। যাঁদের লেখা ভাল হবে, তাঁদের রাজভবনে আমার সঙ্গে চা-পানে আমন্ত্রণ জানাব।’’ গ্রাঁ প্রি পাওয়া পরিচালক অরিবাম শ্যাম শর্মা-সহ অনেকেই রাজ্যপালের এই মনোভাবের প্রকাশ্যে নিন্দে করেন। তাঁদের মতে, এমন গুণিজন সমাবেশে সংস্কৃতি কী জানতে চেয়ে লেখা জমা দিতে বলা মানে আগত অতিথিদের সংস্কৃতি জ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তোলা। রাজ্যপালের নিজেরই স্থান-কাল-পাত্র সম্পর্কে ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান নেই। তাই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমন কথা বলতে পারেন। অরিবাম বলেন, ‘‘এটি কোনও স্কুলের প্রশ্নোত্তরপর্ব ছিল না। এমন কথা বলার আগে রাজ্যপালের ভেবে দেখা উচিত ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Najma Heptulla Manipur Governor Banwari lal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE