নেপালে ভারত-বিরোধী আবহাওয়া বদলাতে কূটনৈতিক চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিন্দুত্বের সূত্র ধরে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে এ বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ব্যবহার করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ ও কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথের মধ্যে প্রাচীন সম্পর্ক রয়েছে। তাও উস্কে দিতে চায় বিজেপি। ফলে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতেও গোরক্ষনাথ মন্দিরের দাপট বাড়বে বলে আশা দলের।
বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, নেপালকে আবার হিন্দুরাষ্ট্র করতে একটা চোরা আবেগ কাঠমান্ডুর মানুষের মধ্যে রয়েছে। রয়েছে পশুপতিনাথকে ঘিরে ঐতিহ্যের গৌরবও। এই আবেগকে উস্কে দিতে যোগী আদিত্যনাথ হতে পারেন ভারতের তুরুপের তাস। কারণ, গুরু গোরক্ষনাথের প্রচারিত ধর্মতত্ত্বে বিশ্বাসী নেপালের প্রাক্তন রাজা এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী—দু’তরফই। নেপালের রাজবংশের ধর্মগুরু ‘শিবের অবতার’ এই গোরক্ষনাথ একদা এসে পূজার্চনা করেছিলেন গোরক্ষপুরে। সেই গোরক্ষপুর মন্দিরেরই প্রধান এখন আদিত্যনাথ। চার বছরে অন্তত ২ বার নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করেছেন আদিত্যনাথ। সে দেশে সক্রিয় পশ্চিমের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সমালোচনা করে দাবি করেছেন, নেপালের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জাতিসত্তাকে নষ্ট করা হচ্ছে। গোরক্ষনাথ মন্দিরের উদ্বোধনেও জ্ঞানেন্দ্রকে ডাকেন যোগী। মাত্র দু’মাস আগে ফের বিভিন্ন ধারার সাধুদের মহাসম্মেলনে জ্ঞানেন্দ্রকে প্রধান অতিথি করে নিয়ে আসেন আদিত্যনাথ। সেখানে তাঁকে ‘বিশ্ব হিন্দু সম্রাট’ অ্যাখ্যাও দেওয়া হয়। বিজেপি সূত্রের মতে, এক দিকে কূটনৈতিক পথে মোদী সে দেশের মাওবাদী-সহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারই পরিপূরক হিসেবে যোগী নেপালের হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy