রুলা ঘানি
বামা কূটনীতি। তা-ও আবার কাবুলের পক্ষ থেকে!
স্কুল যাওয়ার অপরাধে এখনও যে দেশের মেয়েদের বেয়নেটের খোঁচা খেতে হয়, সেই আফগানিস্তানের মহিলারাই এখন ধীরে ধীরে অস্ত্রধারীর চোখে চোখ রাখতে শিখছেন। আফগানিস্তানের একেবারে অন্য ধরনের ‘ফার্স্ট লেডি’ রুলা ঘানি সদ্য শেষ করলেন তাঁর ভারত ‘অভিযান’। আগামী মাসের ২৭ তারিখ নয়াদিল্লি আসছেন তাঁর স্বামী, আফগানিস্তানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, রুলাকে পাঠিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারছে কাবুল। এক, ভারতের মহিলা মননকে জেনে তা কাবুলের নারী প্রগতির কাজে লাগানো। দুই, ক্ষমতায় আসার পর চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে নয়াদিল্লির কিছুটা বিরাগভাজন হওয়ার পরে অস্বস্তি কাটাতে চাইছেন আশরাফ।
আফগানিস্তানের আগের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের স্ত্রী জিনাত কারজাই ছিলেন নিতান্তই বোরখাবন্দি। বিদেশের মানুষ তো দূরস্থান, দেশবাসীই তাঁকে বিশেষ চাক্ষুষ করেননি। নারী স্বাধীনতা-বিরোধিতার সেই অচলায়তনে ঘা দিয়ে এ বার কাবুলে নিজস্ব অফিস খুলছেন নতুন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এই রুলা। আফগান মহিলাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সাহায্যের দাবিতে বিদেশ সফরও শুরু করেছেন িতনি। সেই লক্ষ্যেই তাঁর এ বারের তিন দিনের দিল্লি সফর। বণিকসভা ফিকির এক অনুষ্ঠান শেষে জানালেন, ‘‘আমার শাশুড়ি-মা মহানন্দে বাজারে ঘুরে বেড়াতেন। কখনও সমস্যা হয়নি। আমার শ্বশুরবাড়ির সব মহিলাই পড়তে বা খেলতে যেতে পারতেন!’’
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক, ফিকি-সিআইআই-এর মতো বণিকসভায় বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের মহিলা উদ্যোগপতি, মহিলা সমাজ কর্মীদের সঙ্গে লাগাতার বৈঠক করেন রুলা। ফিকির মহিলা সংগঠনের কাছে তাঁর আবেদন, ‘‘কাবুলে আসুন। আপনাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিন আমাদের হতভাগ্য মহিলাদের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy