স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ছবি: সংগৃহীত।
কূটনৈতিক ও কৌশলগত স্তরে আলোচনার রূপরেখা পাল্টাতে চলেছে ভারত ও আমেরিকা। দু’দেশের মধ্যে এত দিন আলোচনার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেত বিদেশ ও অর্থনীতি। এ বার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অর্থনীতির পরিবর্তে জায়গা করে নিল প্রতিরক্ষা। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমন ইঙ্গিতই মিলেছে।
নয়া ওই ফরম্যাটের নাম হতে পারে ‘টু বাই টু’। এর ফরম্যাটের সঙ্গে ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক ‘২ প্লাস ২’-এর মিল রয়েছে। সেই নীতি অনুযায়ী দু’দেশের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা সচিব স্তরে আলোচনা হয়। একই ভাবে, দ্বিপাক্ষিক স্তরে বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে চায় মোদী ও ট্রাম্প সরকার। বারাক ওবামার আমলেও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আমেরিকার। সেই গুরুত্ব আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসবাদ, দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা চুক্তি-সহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমস্যা মোকাবিলা করতে চায় দু’দেশই। এ নিয়ে ভারত ও আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিতে যথেষ্ট মিল রয়েছে। ফলে নতুন প্রক্রিয়ায় কূটনৈতিক ও কৌশলগত আলোচনায় বসতে চায় দু’দেশের সরকার।
আরও পড়ুন
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এর পরেই হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “দুই রাষ্ট্রনেতাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বাড়াতে আগ্রহী। সেই লক্ষ্যেই দু’দেশের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মধ্যে নতুন প্রক্রিয়ায় আলোচনা শুরু হবে।”
আরও পড়ুন
৩০০ টাকার বেশি রিচার্জ করলেই জিও দেবে ক্যাশ ব্যাক অফার
নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও এ নিয়ে গত জুন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দু’দেশ। গত জুনে নরেন্দ্র মোদীর ওয়াশিংটন সফরের সময় এ বিষয়ে প্রাথমিক স্তরে আলোচনাও হয়। এর পর এই ফরম্যাটের রূপরেখা কেমন হবে তা নিয়ে গত দেড় মাসে আলোচনা আরও গড়িয়েছে। ভারত ও আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা যথাক্রমে অজিত ডোভাল এবং অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল এইচ আর ম্যাকমাস্টারের মধ্যে গত মাসে একটি বৈঠকে এই ফরম্যাটের বিষয়টি প্রথম বার উঠে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy