নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
বিহারের মহাজোট নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর পটনা ফেরার পথে তিনি বলেন, ‘‘জোট সরকার চালানোর দায়িত্ব রয়েছে সব শরিকের। সবাইকে তা মনে রাখতে হবে।’’
লালুপ্রসাদের পটনার বাড়িতে সিবিআই হানার পর বিহারে জেডিইউ-আরজেডি জোটের স্থায়িত্ব নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সরকারের অন্দরে তাঁর ইস্তফার দাবিও জোরালো হয়। এ দিন তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি নীতীশ। জোটের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও কোনও ইঙ্গিত দেননি। তবে জেডিইউ অন্দরমহলের খবর, দু-তিন দিনের মধ্যেই নীতীশ বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এ দিকে আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ আগামী কাল দলের বিধানমণ্ডল সদস্যদের বৈঠক ডেকেছেন। আগামী কাল রাজ্য মন্ত্রিসভারও বৈঠক। কিন্তু দলীয় সূত্রে খবর, তেজস্বী সেখানে হাজির থাকবেন না।
আরও পড়ুন:মোর্চার সঙ্গে বসতে মমতাকে পরামর্শ রাজনাথের
দুর্নীতির সঙ্গে আপস করতে যে তিনি রাজি নন, তা ঘনিষ্ঠ মহলে আগেই স্পষ্ট করেছেন নীতীশ। জেডিইউয়ের বড়-মাঝারি নেতারা তার পরই দাবি তোলেন— উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীকে পদত্যাগ করতেই হবে। কিন্তু তা মানতে চায়নি আরজেডি। সম্প্রতি নীতীশের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেন তেজস্বী। তার পরিপ্রেক্ষিতে আরজেডি দাবি করে, জোটের সব মতপার্থক্য মিটে গিয়েছে। নীতীশ বা তাঁর দল তা নিয়ে ছিল নিরুত্তর। কয়েক দিন আগে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন নীতীশ। গত কাল তেজস্বী দেখা করেন সনিয়ার সঙ্গে। আজ দিল্লিতে রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রবীণ আইনজীবী রাম জেঠমলানীর সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। সূত্রের খবর, বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে তেজস্বীর কাছে জবাব চেয়েছেন নীতীশ। তার বয়ান নিয়ে আলোচনা করতেই ওই আইনজীবীর কাছে গিয়েছিলেন তেজস্বী।
রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর এ দিন রাতের বিমানে দিল্লি থেকে ফেরার কথা ছিল নীতীশের। কিন্তু সফর-সূচি বদলে দুপুর আড়াইটের বিমানে পটনায় ফেরেন তিনি।
দলীয় সূত্রে খবর, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল নীতীশের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy