Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Nitish Kumar

ঠিক সময়ে যোগ্য জবাব দেব লালু, রাহুলকে, বললেন নীতীশ

বিজেপি’র সঙ্গে হাত মিলিয়েছি বিহারের মানুষেরই স্বার্থে। বিহারের উন্নয়নের জন্য। ন্যায় রক্ষার স্বার্থে। বিহারের মানুষের কাছে আমি দায়বদ্ধ। বিহারের উন্নয়নের জন্য আমি দায়বদ্ধ। ভবিষ্যতেও আমি বিহারের মানুষের স্বার্থটা দেখব। আর এই সিদ্ধান্তটা আমার একার নয়। সবাই মিলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বললেন নীতীশ।

নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব ও রাহুল গাঁধী।- ফাইল চিত্র।

নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব ও রাহুল গাঁধী।- ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৭ ১৯:৪২
Share: Save:

ছেড়ে দেবেন না তিনি। সময় এলে যোগ্য জবাব দেবেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব ও কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীকে।

ষষ্ঠ বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন নীতীশ কুমার। বিজেপি’র সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে নীতীশের দিকে আঙুল উঁচিয়েছিলেন লালু।

পাল্টা জবাবে নীতীশ বলেছেন, ‘‘বিজেপি’র সঙ্গে হাত মিলিয়েছি বিহারের মানুষেরই স্বার্থে। বিহারের উন্নয়নের জন্য। ন্যায় রক্ষার স্বার্থে। বিহারের মানুষের কাছে আমি দায়বদ্ধ। বিহারের উন্নয়নের জন্য আমি দায়বদ্ধ। ভবিষ্যতেও আমি বিহারের মানুষের স্বার্থটা দেখব। আর এই সিদ্ধান্তটা আমার একার নয়। সবাই মিলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

বুধবার নীতীশ ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর দিকে আঙুল তুলতে বিন্দুমাত্র সময় নেননি তাঁর দিনকয়েক আগেকার ‘দোসর’ লালুপ্রসাদ। বেশ কিছু দিন ধরেই দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। আরজেডি সুপ্রিমো লালুর ছেলে তেজস্বী যাদবের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে নীতীশ সরব হওয়ার পর তা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। বিজেপি’র হাত ধরে নীতীশ ফের ‘হিরো’ হয়ে ওঠায় দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ লালু বলেছেন, ‘‘তেজস্বীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের জন্য নয়, ওঁর নিজের নামে থাকা খুনের মামলার জন্যই ইস্তফা দিয়েছিলেন নীতীশ।’’

আরও পড়ুন- নীতীশের পুনর্বিজেপি ভব! প্রশ্ন উঠছে নীতি নিয়েই

খোঁচা দিতে দেরি করেননি বিহারে মহাজোটের অন্যতম শরিক দল কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীও। বলেছেন, ‘‘নিজের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই, এক সময় যাঁদের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছিলেন, সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলালেন নীতীশ। তিন মাস আগেই এর আঁচ পেয়েছিলাম।’’

ষষ্ঠ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই খোঁচার কোনও তাৎক্ষণিক জবাব না দিয়ে যেন কিছুটা তাঁর রাজনৈতিক ধৈর্যেরই পরিচয় দিতে চাইলেন নীতীশ কুমার। আর তাঁর সেই আপাত ধৈর্যকে যাতে প্রতিপক্ষ তাঁর দুর্বলতা বলে ভেবে না বসে, সে জন্য পরে ‘হাটে হাঁড়ি ভাঙা’র কথাও শুনিয়ে রাখলেন নীতীশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE