Advertisement
০৫ মে ২০২৪
National

ওজোন স্তরে ফুটোর ফলে মৃত্যুর সংখ্যায় ভারত বিশ্বে এক নম্বরে

যে দেশে আমার-আপনার জন্ম, সেই দেশই আমাদের শরীরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে এই ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে মারাত্মক বিষ! যে বিষ কুরে কুরে খাচ্ছে, ঝাড়ে-বংশে নিকেশ করে দিচ্ছে ভারতীয়দের। অন্য অনেক বিষয়ে বিরোধ থাকলেও দূষণজনিত মৃত্যুর সংখ্যায় চিনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত! আর এ ব্যাপারে সত্যি-সত্যিই ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’রা গোটা বিশ্বকে পিছনে ফেলে দিয়েছে!

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ফুটো!

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ফুটো!

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৭:২৫
Share: Save:

যে দেশে আমার-আপনার জন্ম, সেই দেশই আমাদের শরীরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে এই ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে মারাত্মক বিষ! যে বিষ কুরে কুরে খাচ্ছে, ঝাড়ে-বংশে নিকেশ করে দিচ্ছে ভারতীয়দের।

অন্য অনেক বিষয়ে বিরোধ থাকলেও দূষণজনিত মৃত্যুর সংখ্যায় চিনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত! আর এ ব্যাপারে সত্যি-সত্যিই ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’রা গোটা বিশ্বকে পিছনে ফেলে দিয়েছে!

সেই দূষণের কারণ, বায়ুমণ্ডলের ওজোনোস্ফিয়ার বা ওজোন স্তরের সুবিশাল ছিদ্র বা ফুটো। যে ছিদ্র দিয়ে সূর্যের আলোর সঙ্গেই বায়ুমণ্ডল ফুঁড়ে অকাতরে ঢুকে পড়ছে অতিবেগুনি রশ্মি বা আলট্রা-ভায়োলেট রে। ঢুকে পড়ছে মহাজাগতিক রশ্মি বা কসমিক রে। এই দুই রশ্মির ‘জঙ্গি সন্ত্রাসে’ লাখে লাখে মৃত্যু হচ্ছে ভারতে, চিনে। মৃত্যুর ঘটনার সংখ্যায় গোটা বিশ্বে দূষণজনিত কারণে যত জন প্রাণ হারান, এই ‘হিন্দি-চিনি ভাই’দের ‘দৌরাত্ম্যে’ তার অর্ধেকটাই হয় ভারত ও চিনে!

আরও পড়ুন- কৃত্রিম কিডনি বানিয়ে চমক বাঙালির, বাজারে আসতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি

পরিসংখ্যানটা যার-তার নয়। মঙ্গলবার বস্টনে প্রকাশিত ২০১৭ সালের ‘স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার রিপোর্ট’ এই তথ্য দিয়েছে। রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ফুটো হওয়ার ফলে ঢুকে পড়া অতিবেগুনি ও মহাজাগতিক রশ্মির কোপে পড়ে শুধু ভারতেই ২০১৫ সালে মৃত্যু হয়েছে আড়াই লক্ষ মানুষের। ফুসফুসের জটিল অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দূষণজনিত কারণে স্বাভাবিক গড় আয়ু কমে যাওয়ার ঘটনাতেও ভারত সবাইকে চমকে দিয়েছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশের চেয়ে যা কম করে ১৩ গুণ বেশি। আর পাশের দেশ পাকিস্তানের চেয়ে যা ২১ গুণ বেশি! ওই রিপোর্টই জানিয়েছে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৯২ শতাংশই যে এলাকায় বাস করছেন, তার বায়ুমণ্ডল রীতিমতো দূষিত হয়ে গিয়েছে।

কী ভাবে আসে ওই অতিবেগুনি রশ্মি আর মহাজাগতিক রশ্মি?

শুধুই আলো নয়, সূর্য আমাদের আরও কিছু দেয়। তার বেশির ভাগটাই বিষ। তারই মধ্যে রয়েছে অতিবেগুনি রশ্মি। আর এই সৌরমণ্ডলের বাইরে থেকে প্রতি মুহূর্তেই ছুটে আসছে মহাজাগতিক রশ্মি। ওই সব রশ্মির ‘হামলা’ থেকে আমাদের বাঁচায় বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর। শিল্প দূষণের ফলে সেই ওজোন স্তরেই ফুটো হয়ে যাচ্ছে। আর তার ফলেই ঢুকে পড়ছে ওই দু’টি বিষ।

আরও পড়ুন- অ্যাসপিরিনেই কাবু হতে পারে ক্যানসার! পথ দেখালেন ২ ভারতীয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Earth Ozone Layer Ozone Pollution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE