দুর্গাবাহাদুর রাইয়ের মেয়েরা। ছবি: সংগৃহীত।
মৃত্যুর ৩৩ বছর পরে, কবর খুঁড়ে দেহাবশেষ তুলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল আসাম রাইফেলসের কম্যান্ডান্ট, লেফটেন্যান্ট কর্নেল দুর্গাবাহাদুর রাইয়ের। প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে দুর্গাবাহাদুরের মায়ের সমাধি তৈরি হয়েছিল যেখানে, ঠিক তার পাশেই দুর্গাবাহাদুরের চিতাভস্ম সমাহিত করার ব্যবস্থা হল। তবে বড় জটিল এক আইনি লড়াইয়ের রাস্তা পেরিয়ে দুর্গাবাহাদুরের তিন মেয়ে এই শেষকৃত্যের অনুমতি পেলেন।
আদতে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পংয়ের বাসিন্দা রাই ১৯৮৪ সালের ৫ অগস্ট ইম্ফলে মারা যান। পরিবারকে জানানো হয়, খুমান লাম্পাকের কবরখানায় তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে। দাহ করা হয়নি। কিন্তু তখন এক ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়তে পারেননি তাঁর স্ত্রী। ১৯৯১ সালের ১৬ অগস্ট থাংজিং বিমান দুর্ঘটনায় রাইয়ের ছেলের মৃত্যু হয়। ২০০৯ সালে মারা যান তাঁর রাইয়ের স্ত্রীও। স্ত্রীর শেষ ইচ্ছে ছিল স্বামীর হিন্দু মতে সৎকার হোক।
আরও পড়ুন: সর্দি-কাশি সারাতে ৫ মাসের শিশুর গলায় গরম লোহার ছ্যাঁকা
মেয়েরা সেই ইচ্ছা পূরণের জন্য ২০১৩ সালে ইম্ফলে যা। কিন্তু তত দিনে পুরনো কবরস্থান সাইয়ের অধীনে চলে গিয়েছে। ছোট মেয়ে বিনীতা রাই পূর্ব ইম্ফলের সিজেএম আদালতে বাবার দেহাবশেষ কবর থেকে তোলার অনুমতি চেয়ে মামলা করেন। কয়েক দফা শুনানির পরে ২২ মার্চ সিজেএম এ নতুনেশ্বরী মামলাকারীর পক্ষেই রায় দেন।
বৃহস্পতিবার তিন কন্যা সরিতা রাই গুরুং, কবিতা রাই ও বিনীতা রাই ইম্ফল যান। নতুনেশ্বরী নিজে পুরো প্রক্রিয়ার তদারকি করেন। হাজির ছিলেন সাইয়ের আঞ্চলিক অধিকর্তা এবং পুলিশ কর্তারাও। ‘বিশিষ্ট সেবা মেডেল’ পাওয়া দুর্গাবাহাদুরের কবর খুঁজে, দেহাংশ খুঁড়ে বের করে মিনুথঙ শ্মশানে দাহ করা হয়। চিতাভস্ম নিয়ে মেয়েরা রওনা দেন কালিম্পং। সেখানে, দুর্গাবাবুর মায়ের সমাধির পাশেই তাঁর চিতাভস্ম সমাহিত করার ব্যবস্থা হয়েছে। বিনীতা রাইয়ের কথায়, "আশা করি স্বর্গত বাবা এত দিনে শান্তি পেলেন।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy