উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা কক্ষ। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ভিতরে উদ্ধার হওয়া সন্দেহজনক সাদা পাউডার, আসলে মারাত্মক শক্তিশালী এক প্রকার বিস্ফোরক তৈরির মশলা। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট দিয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বুধবার উদ্ধার হওয়া এই বিস্ফোরক পাউডার, যার নাম পেন্টাএরিথ্রিটল টেট্রা নাইট্রেট (পিইটিএন), যা জঙ্গিরা বড়সড় নাশকতার জন্য তৈরি বোমার মশলায় ব্যবহার করে। এর আগে বিভিন্ন বড় বিস্ফোরণের ঘটনায় এই রাসায়নিক ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। স্নিফার ডগও এই বিস্ফোরক খুঁজে বার করতে পারে না।
বুধবার বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রাম গোবিন্দ চৌধুরির টেবিলের কাছ থেকে পাওয়া যায় রংহীন এই পাউডার। তখনও বোঝা যায়নি এটি কী। ‘রহস্যময়’ ওই পাউডার ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষা করে ধরা পড়ে সেটি আসলে পিইটিএন। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ এবং আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিধানসভা থেকে শুরু রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে। শুক্রবার বিধানসভায় এ নিয়ে বক্তব্যও রাখেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের ভয়াবহতা মারাত্মক। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ৫০০ গ্রাম পাউডার গোটা বিধানসভা চত্বর উড়িয়ে দিতে পারে। ঘটনায় জঙ্গিযোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ এই বিস্ফোরকের কোনও রং না থাকায় সহজে চোখে পড়ে না। সিল করা বাক্সে থাকলে তা বাইরে চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব।
আরও পড়ুন, এক ঘণ্টার মধ্যেই অমরনাথ হামলার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল জঙ্গিরা
বিধানসভার মতো হাই-সিকিউরিটি জোনে এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল থেকেই দফায় দফায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুক্রবার পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ কী ভাবে বিধানসভার ভিতর এ ধরনের মারাত্মক বিস্ফোরক পাউডার পৌঁছল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy