আর ঠিক দু’মাস। আগামী ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবনে কাজ শুরু করে দেবেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি।
আগামিকাল সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে যখন বিরোধীরা রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী নিয়ে বৈঠকে বসছেন, তখন আজ এই কথা জানালেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি ভবনে এক চা-চক্রের অনুষ্ঠানে প্রণব বুঝিয়ে দিলেন, পরের রাষ্ট্রপতির দৌড়ে তিনি নেই।
নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই প্রণববাবুর নাম ফের রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষায় আছেন, সরকার প্রণববাবুর নামে সিলমোহর বসায় কি না। আজ রাতে তিনি প্রণবের সঙ্গে দেখাও করেছেন। তবে তার আগে প্রণব নিজেই বিদায়ের ইঙ্গিত দিলেন। শুক্রবারের বৈঠকে নীতীশ আসছেন না। তাঁর বদলে থাকবেন দলের নেতা শরদ যাদব। না-ও আসতে পারেন নবীন পট্টনায়ক। শরদ পওয়ার বিদেশে। তাঁকে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস। মায়াবতী, অখিলেশকে সশরীর আনার চেষ্টা হচ্ছে। অরবিন্দ কেজরীবাল আজ রাত পর্যন্ত এই বৈঠকে যোগ চাইলেও এখনও পর্যন্ত আমন্ত্রণ পাননি।
আজ নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তবে আমি আগে যা বলেছিলাম, সেই অবস্থানেই অনড় রয়েছি। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মতি হওয়া দরকার।’’
অখিলেশের তরফে রাষ্ট্রপতি পদে লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারের নাম প্রস্তাব করা হবে। দলিত নেত্রী হিসেবে মীরাকে বাকিরা মেনে নেবেন বলেই আশা তাঁর।
বাম নেতারা গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নাম নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে ফেলেছেন। বিরোধীরা মনে করছেন, গোপালকৃষ্ণের মতো এমন একজনকে দরকার, যাঁর বিরোধিতা করা মোদীর পক্ষে কঠিন। কারণ, মোদী যে মহাত্মা গাঁধীর চশমা নিয়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযান করেন, বারবার গাঁধীর কথা বলেন, তাঁর পক্ষে মহাত্মা গাঁধীর প্রপৌত্রকে অবজ্ঞা করা কঠিন।
বিজেপি এখনও তাদের তাস না দেখালেও ঘনিষ্ঠ মহলে নেতারা জানিয়েছেন, এত দিন পরে এনডিএ-র সুযোগ এসেছে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার। সেই সুযোগ কেন ছাড়া হবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy