ছিলেন সফল অভিনেত্রী। তার পর অভিনয় ছেড়ে সরাসরি রাজনীতির মাঠে। সেখানেও একের পর এক সাফল্যের মাইলস্টোন ছুঁয়ে এ বার জাতীয় কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেলেন রামিয়া। দলের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী স্বয়ং এই দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন তাঁর হাতে।
যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের তরফে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে, কর্নাটক কংগ্রেসের তরফে খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাঁর কাছে সাংগঠনিক শুভেচ্ছা পাঠানো হয়েছে। ঝাড়খণ্ড কংগ্রেস তো রীতিমতো টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছে রামিয়াকে।
চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি দিব্যা স্পন্দন নামেই পরিচিত ছিলেন। ৩৪ বছর বয়সী কন্নড় অভিনেত্রী এর পরে রিল লাইফে রামিয়া নামেই অতি পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু, কেরিয়ারের মধ্য গগনেই অভিনয় থেকে সরে যান রামিয়া। কংগ্রেসে তিনি যোগ দেন ২০১১ সালে। ২০১৩ সালে কর্নাটকের মাণ্ড্য লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন। সেই সময় তিনি ছিলেন দেশের তরুণতম সাংসদ। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে একই কেন্দ্র থেকে লড়ে অবশ্য হেরে যান।
আরও খবর
‘পাকিস্তান নরক নয়’ বলায় কন্নড় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা
এমনিতে রামিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ ভাবে সক্রিয় রামিয়া। বিভিন্ন ইস্যুতেই তিনি দলের হয়ে গলা চড়ান। গত বছরের অগস্টে পাকিস্তানের ‘সপক্ষে’ কথা বলায় রামিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয় কর্নাটকের আদালতে। পাকিস্তান যে ‘নরক’ নয়, তাঁর এমন মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো হইচই করেছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-সহ সংঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠন। রামিয়া দেশকে অপমান করার পাশাপাশি দেশবাসীর মধ্যে পাকিস্তানপন্থী জিগির তুলছেন বলে অভিযোগ জানানো হয় আদালতে।
রামিয়ার আগে জাতীয় কংগ্রেসে সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব ছিল দীপেন্দ্র সিংহ হুদার হাতে। তিনি হরিয়ানার সাংসদ। এ বার তাঁর জায়গায় আসছেন রামিয়া। যদিও এ নিয়ে রামিয়ার কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy