ত্রিশঙ্কুর কাঁটা গেঁথে রয়েছে গলায়। চিনে যাওয়ার আগেই আজ তাই কর্নাটকে দলের নেতা-কর্মীদের সেই ‘ভয়’ থেকে মুক্তির মন্ত্র দিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর আজই কর্নাটকের ভোটের ময়দানে নেমে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝোড়ো প্রচার শুরু করলেন রাহুল গাঁধী। সিদ্দারামাইয়া সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন মোদী। তার জবাব দিতে রাহুলের পাল্টা অভিযোগ, কর্নাটকে কলঙ্কিত আট নেতাকে প্রার্থী করেছেন মোদী। দুর্নীতির কথা তোলার অধিকারই তাঁর নেই।
সামনের সপ্তাহেই কর্নাটকে ভোটের প্রচারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে চিন থেকে ফিরেই কেদারনাথে পুজো দেবেন। চলতি বছরে মন্দিরের দরজা খোলার পর ‘প্রথম ভক্ত’ হিসেবে। প্রায় সব সমীক্ষাই দেখাচ্ছে, কর্নাটকে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতে চলেছে। তাই ভোটের দিন পনেরো আগে শেষ কামড় দিয়ে যদি মোড় ঘোরানো যায়, সে জন্য মরিয়া প্রধানমন্ত্রী।
দলের দক্ষিণের দুর্গ বাঁচাতে মরিয়া রাহুলও। কর্নাটকে ভোটের আগে এ নিয়ে সাত বার প্রচারে এলেন তিনি। অঙ্কোলায় কংগ্রেস সভাপতি আজ নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রীকে। বলেন, ‘‘মোদী যখন কর্নাটকে আসেন, দুর্নীতির কথা বলেন। আর সেই সময়ে তাঁর এক পাশে থাকেন জেল থেকে বেরনো নেতা ইয়েদুরাপ্পা। অন্য পাশে দেখা যায় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আরও চার নেতাকে।’’ রাহুলের অভিযোগ, কর্নাটকে এসে দুর্নীতির কথা তোলেন মোদী। অথচ নীরব মোদীর প্রসঙ্গ উঠলে চুপ করে যান।
এ দিনই দিল্লিতে বসে কর্নাটকের নেতাদের ভিডিও বার্তায় মোদী বলেন, হারের ভয়ে কংগ্রেস ত্রিশঙ্কু বিধানসভার কথা ছড়াচ্ছে। কংগ্রেস মিথ্যা প্রচার করে সব সময়, এখনও করছে। কংগ্রেসের ‘মিথ্যা’ প্রচারের মোকাবিলা করতে আগামী ১২ মে পর্যন্ত কর্মীদের কী করতে হবে, তা-ও বাতলে দিয়েছেন মোদী। তাঁর দাওয়াই, ভোট নয়, বুথ জিততে হবে। যত জন পুরুষ, তত জনই মহিলা রাখতে হবে। প্রত্যেককে ভাগ করে দিতে কয়েকটি পরিবার। জনসভায় হাওয়া তৈরি হয়। কিন্তু মানুষের মন জিততে ঘরে-ঘরে গিয়ে গল্প করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy