নরেন্দ্র মোদীর তিন বছরের ‘উৎসব’-এর শুধু ফানুস ফাটানোই লক্ষ্য নয়। আগামী দু’বছর এক বিকল্প বিচারধারা পেশ করে ইতিবাচক আন্দোলনের সূত্রপাতও করলেন রাহুল গাঁধী।
তিন বছর আগে আজকের দিনেই বিপুল ভোটে জিতে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর আজই বিকল্প আন্দোলনের রূপরেখা পেশ করলেন রাহুল। ২৬ মে মোদীর শপথের দিন থেকে দেশজুড়ে ‘মোদী-উৎসবের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। টুইটারে কখনও কৃষকদের জয়গান করছেন মোদী। কখনও জানাচ্ছেন, সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে পুরোপুরি বদলে ফেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাঁর সরকার। আজ সকালে রাহুল নিজে টুইট করে বলেন, ‘‘যুবকরা কাজ পেতে হন্যে হচ্ছেন, কৃষক আত্মহত্যা করছেন, সীমান্তে সেনারা মরছেন- সরকার কীসের উৎসব করছে? জনমতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতিশ্রুতি না রাখা, কাজ করে দেখাতে না পারাই তিন বছরের খতিয়ান।’’ এরপরেই রাহুলের নির্দেশে তাঁর টিমের কুশীলবরা বিকল্প রূপরেখা পেশ করেন। নরেন্দ্র মোদীর ‘নতুন ভারত’-এর স্বপ্নের মোকাবিলা করা হবে রাহুলের ‘ভারতের ভাবনা’ (আইডিয়া অফ ইন্ডিয়া) দিয়ে।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সচিন পাইলট, সুস্মিতা দেব, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আর কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বে আসা অভিনেত্রী রম্যা- এক ঝাঁক নবীন মুখ দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাহুলের নেতৃত্বে আস্থা প্রকাশ করেন। তাঁদের দাবি, সাম্প্রতিক ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে দল। সেই ভুল শোধরানো হচ্ছে। তিন বছরে মানুষ বুঝতে পেরেছেন, একজন স্বৈরতান্ত্রিক ব্যক্তি তাঁর মতকে চাপিয়ে দেন। মিথ্যা বলা, বারবার বলা, জোরে-জোরে বলাই তাঁর কাজ। বিজেপি এখন শুধুমাত্র ভোটযন্ত্রে পরিণত হয়েছে। ভোটে জেতার জন্য নিজেদের বিচারধারাকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র মোদী সরকারের নিন্দা করা কংগ্রেসের কাজ নয়। বরং একটি বিকল্প বিচারধারা মানুষের সামনে পেশ করার জন্য গণ-আন্দোলন শুরু করা হবে।
‘তিন সাল, দেশ বেহাল/ ইয়ে হি হ্যায় বিজেপি কা কামাল’ স্লোগান তুলে আজ কংগ্রেস মোদীর তিন বছরের ব্যর্থতাই তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ও পরে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর অবস্থান বদলকেও তুলে আনে। এর মোকাবিলা করতে মোদী সরকারের মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ‘‘দুর্নীতিমুক্ত ভারত, এক শক্তিশালী নেতৃত্ব, দ্রুত গতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নই তিন বছরের সাফল্য। আর সে কারণেই বিরোধীদের হারিয়ে মোদীতে আস্থা রেখেছে জনতা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy