রাজস্থান, হরিয়ানায় গো-রক্ষা বাহিনীর দাপট সত্ত্বেও বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ঝাড়খণ্ডে শিশু অপহরণকারী সন্দেহে পাঁচ জনকে পিটিয়ে মারার পরেও প্রশ্ন ওঠে, পুলিশ কী করছে! এ বার উত্তরপ্রদেশের দলিত বিক্ষোভ রাজধানীতে আছড়ে পড়তেই নরেন্দ্র মোদীকে তোপ রাহুল গাঁধীর।
কংগ্রেস সহ-সভাপতির প্রশ্ন, ‘‘রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি অরাজকতায় ডুবে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কি জবাব দেবেন?’’ রাহুল আজ রাজস্থানে নিহত এক ব্যক্তির হাতজোড় করা, রক্তাক্ত ছবি টুইটে তুলে ধরেন। কংগ্রেস নেতাদের প্রশ্ন, আতঙ্ক, রক্তপাত ও মৃত্যুর রাজত্ব চলছে। মোদী সরকার কি তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে এই উদযাপন করছে?
যোগী আদিত্যনাথের জমানায় উত্তরপ্রদেশে ঠাকুর ও দলিতদের মধ্যে সংঘর্ষের পরে গত কাল যে ভাবে হাজার দশেক দলিত দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাতে যোগী ও মোদী, দু’জনের সরকারই বিব্রত। সহারাণপুরে বাবাসাহেব অম্বেডকরের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানেই ঠাকুররা দলিতদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের সরকারের আরও অস্বস্তির কারণ হল আদিত্যনাথ নিজে ঠাকুর সম্প্রদায়ের।
অস্বস্তিতে পড়ে আরও কঠোর মনোভাব নিয়েছে যোগী সরকার। রবিবার দিল্লিতে বিক্ষোভের পাশাপাশি মোরাদাবাদে মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখায় দলিতরা। তার জন্য ৫০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। এর আগে সহারাণপুরে হামলার পরে দলিতদের নতুন সংগঠন ‘ভিম আর্মি’-র প্রধান চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে যন্তর মন্তরের জনসভায় আসেন চন্দ্রশেখর। তাঁর অভিযোগ, ঠাকুর ও পুলিশ মিলে দলিতদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। অথচ দলিতদের নামেই পুলিশে মামলা হচ্ছে। এত দিন উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীই দলিতদের নেত্রী ছিলেন। কিন্তু ভিম আর্মির রাশ তাঁরও হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। দলিতদের বিক্ষোভের মধ্যেই বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন কর্নাটকের নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। চিত্রদুর্গ জেলায় দলিতদের বাড়িতে প্রাতরাশ করেন তিনি। অভিযোগ, প্রাতরাশের ইডলি হোটেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি দলিত পরিবারের রান্না খাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy