ফাইল চিত্র।
রাজনৈতিক বিষয়ে তারা নাক গলায় না, এটাই ছিল আরএসএস-এর বরাবরের অবস্থান। আজ কিন্তু অমিত শাহের ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল তারা।
ভোপালে এ দিন আরএসএসের বৈঠকের ফাঁকে সঙ্ঘের অন্যতম শীর্ষ নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবালে-কে প্রথমে যখন প্রশ্ন করা হয়, তিনি বলেন এই নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। ‘‘দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তার জন্য আবশ্যিক যে তদন্ত হয়, তা হোক। সেই হিসেবে যা পদক্ষেপ করার, তা হোক।’’ পরে ফের প্রশ্ন করা হয়, তদন্ত কি সরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো উচিত? তখন একটু আত্মরক্ষার ভঙ্গিতে দত্তাত্রেয় বলেন, ‘‘যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদেরই প্রমাণ করতে হবে অভিযোগের সত্যতা কতটা।’’
প্রশ্ন হল, যদি সরকারি কোনও সংস্থা তদন্ত না করে তা হলে অভিযোগকারী কীসের মাধ্যমে সত্যতা প্রমাণ করবে? পীযূষ গয়াল ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সরকার তদন্ত করবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহও বলেছেন, তদন্তের প্রয়োজন নেই। সঙ্ঘ নেতাটি এ দিন জয়ের নাম উল্লেখ করেননি অবশ্য। পীযূষদের মতো করে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আসরেও নামেননি। তবু বিজেপির এক সূত্রের মতে, এটাও কম নয়। আরএসএসের বলার ধরন এমনই। আরএসএস যে পরোক্ষে জয় শাহের পক্ষেই সওয়াল করেছে, তাতেই অমিত শাহের চাপ কিছুটা লাঘব হল বলে মনে করছেন তিনি।
বরং সূত্রটির মতে, সঙ্ঘ মুখ খোলায় গুজরাত ভোটের আগে দলের মধ্যে অমিত-বিরোধী রাজনীতিকে প্রতিহত করতে অমিতের সুবিধা হবে। এখনও পর্যন্ত অমিত-পুত্রের পক্ষে দাঁড়াতে দলের অনেক শীর্ষ নেতা সে ভাবে এগিয়ে আসেননি। বরং তলে তলে অনেকে মনে করছেন, অতীতে লালকৃষ্ণ আডবাণীদের পথ অনুসরণ করে অমিতেরও ইস্তফা দেওয়া উচিত। এই পরিস্থিতিতে সঙ্ঘ যে পরোক্ষেও জয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেটাই অমিতকে অনেকখানি নিশ্চিন্ত করবে বলে দলীয় সূত্রে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy