প্রতীকী ছবি।
আন্ধেরির এক নামী স্কুলের ট্রাস্টি তথা সহ-প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে তিন বছরের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়। মে মাসের ঘটনা সেটা। নড়ে বসেনি পুলিশ। শেষে আদালত ও শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন হস্তক্ষেপ করায় ঘুম ভাঙল পুলিশের।
ধর্ষণের মামলা রুজু হওয়ার ছয় মাস পর, মঙ্গলবার সকালে মুম্বই পুলিশ ৫৭ বছর বয়সি ভিনদেশি ওই নাগরিককে গ্রেফতার করল। ডেপুটি কমিশনার নবীনচন্দ্র রেড্ডি জানিয়েছেন, ‘‘তদন্তে নতুন সাক্ষ্য মেলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তাঁকে আদালত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।’’ ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গী শিক্ষককে এখনও ধরা হয়নি।
তদন্তের সময় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য ও কর্মী মিলিয়ে অন্তত ৭৫ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তিনি ভারতে ফিরলে তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করা হয়েছে। পরীক্ষার ফল আসা এখনও বাকি।
নির্যাতিতা শিশুটির মা জানিয়েছেন, ১৫ মে তিনি মেয়ের আচরণে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেন। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, ২০১৬-র দীপাবলি থেকে ২০১৭-র মার্চ পর্যন্ত যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে মেয়ে। ওই ছাত্রী ও তার এক সহপাঠীকে এক শিক্ষক খেলার অছিলায় ডেকে নিয়ে যেতেন। সেখানে ওই ট্রাস্টি এসে তাদের অশালীন ভাবে স্পর্শ করতেন। শিক্ষক দাঁড়িয়ে তা দেখতেন। মা স্কুলের ওয়েবসাইট
খুলে মেয়েকে দেখালে সে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে। ১৮ মে নির্যাতিতার মা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) (ক) ধারায় ও শিশু সুরক্ষা আইন (পস্কো)-এর ৪,৬ ও ১০ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। ৮ জুন বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে পুলিশ শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বয়না দেয়, অভিযুক্তদের চিনিয়েও দেয়। ২০ জুন মাজগাঁও আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার বয়ান রেকর্ড করা হয়। এর
পরও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। শিশুর পরিবার বম্বে হাইকোর্টে মামলা করে এবং শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছেও নালিশ জানায়। গত সপ্তাহে হাইকোর্ট মামলাটির তদন্তভার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের হাতে দেয়। তার পর এই গ্রেফতারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy