উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের ফলে জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির নিজস্ব প্রার্থী মনোনয়নের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গেল। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল বেরনোর পরে বিজেপি সূত্র বলছে, আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত এবং যাঁর বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট নেই— এমন প্রার্থী খোঁজার সময় হয়েছে।
এটা ঘটনা যে, ভোটের এই ফল সরাসরি ভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পাটিগণিত বদলে দিতে পারবে না। উত্তরপ্রদেশের প্রভাবে রাজ্যসভায় বিজেপির শক্তি বাড়তে সেই আগামী বছর। তবে রাজনীতির লোকজন মানছেন, এই জয় নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দিল এগিয়ে দিল মনস্তাত্ত্বিক ভাবেও। ফলে রাষ্ট্রপতি পদে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে সমস্যা হবে না তাঁদের পক্ষে। কারণ, বিজেপির প্রার্থীকে সমর্থনের প্রশ্নে ছোট দলগুলিকে পাশে টানাটা এখন সহজ হবে। এই ভোটে বিজেপি খারাপ ফল করলে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সর্বসম্মতির ভরসায় থাকতে হতো মোদীকে।
এ দিনের ফল ঘোষণার পরে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার বাবরি মামলার খাঁড়া ঝুলে থাকায় লালকৃষ্ণ আডবাণীও যে এই দৌড়ে নেই, তা-ও স্পষ্ট করে দিচ্ছে বিজেপি সূত্রই। দলের নেতাদের ঘরোয়া আলোচনায় ইতিমধ্যেই যাঁদের নাম উঠে আসছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মূ ও আরও কয়েক জন। তবে চমক দিয়ে একেবারে আনকোরা কাউকেও বেছে নেওয়া হতে পারে শেষ মুহূর্তে। ঠিক যে ভাবে ইউপিএ জমানায় প্রতিভা পাটিলকে বসিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী।
এ দিনের জয়ে আগামী বছর রাজ্যসভায় বিজেপির শক্তি বাড়বে। লোকসভায় বিপুল গরিষ্ঠতা থাকলেও যে কোনও বিল করাতে এখন উচ্চকক্ষে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের দাপটে। আজকের জয়ে সেই পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে। আগামি বছরের প্রথমার্ধেই উত্তরপ্রদেশ থেকে ১০টি আসন খালি হচ্ছে। যেখানে সপা, বসপা, কংগ্রেসের সাংসদেরা ছিলেন। ওই ১০টির মধ্যে ৯টি আসন নিশ্চিত ভাবে বিজেপির হাতে আসবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির মনোনীত ৩ জন সদস্যের (রেখা, সচিন তেন্ডুলকর, অনু আগা) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেখানেও বিজেপি নিজেদের মনোনীত প্রার্থী আনবে। অন্যান্য রাজ্য থেকেও রাজ্যসভার কিছু সাংসদ বাড়বে বিজেপির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy