ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধেয়ে আসা শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। সৌজন্যে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।
বৃহস্পতিবার ওডিশায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ‘ইন্টারসেপ্টর’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। যা সফল ভাবে মাঝ আকাশেই রুখে দেয় ধেয়ে আসা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এ ভাবেই দেশীয় প্রযুক্তিতে শক্তিশালী বহুস্তরীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স (বিএমডি) ব্যবস্থা গড়ার পথে আরও এগিয়ে গেল ভারত।
ডিআরডিও-এর তৈরি এই ‘ইন্টারসেপ্টর’ ক্ষেপণাস্ত্রটির উচ্চতা ৭.৫ মিটার ও তার ওজন প্রায় দেড় টনের কাছাকাছি। আর এর ব্যাস ০.৫ মিটারেরও কম। এতে রয়েছে ন্যাভিগেশন সিস্টেম, উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন কম্পিউটার এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল অ্যাক্টিভেটর। আর পৃথ্বী গোত্রের যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে নিশানা করা হয়েছিল, সেটি ১১ মিটার লম্বা। ওজন ৫ টন এবং তার ব্যাস ১ মিটার।
প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে খবর, চাঁদিপুরের ‘ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের কমপ্লেক্স-৩’ থেকে ছোড়া হয়েছিল একটি পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্র। ওডিশা উপকূলের আব্দুল কালাম দ্বীপপুঞ্জে ছিল স্বল্প উচ্চতার ‘সুপারসনিক ইন্টারসেপ্টরটি’। বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে ছুটে আসা পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করে দেয় সেটি।
স্বভাবতই দেশে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী ব্যবস্থার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ডিআরডিও। কারণ এই সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সঙ্গেই শেষ হল ডিআরডিও-র ‘মিশন ২০১৭’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র জানাচ্ছে, এটা বড়সড় সাফল্য।
এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী ব্যবস্থা আমেরিকা, ইজরায়েল-সহ বিভিন্ন দেশ ব্যবহার করে। ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ ব্যবস্থা ভেদ করে যে কোনও শত্রু দেশের ক্ষেপণাস্ত্রের পক্ষে সে দেশের মাটিতে পৌঁছনো কঠিন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy