সরকার গড়তে সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন আগেই। এ বার মণিপুর বিধানসভায় আস্থা ভোটেও বিজেপি-র সরকারকে সমর্থন করলেন একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক টংব্রাম রবীন্দ্র সিংহ। এবং তাঁর দাবি, তৃণমূল নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত নিয়েই যা করার করেছেন! স্বভাবতই নারদ-কাণ্ডের সিবিআই তদন্ত চলাকালীন এমন ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
আস্থা ভোটের পরে তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্র সোমবার দাবি করেছেন, ‘‘দলের শৃঙ্খলা ভাঙিনি। দলের স্বার্থবিরোধী কাজও করিনি। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা বলেছেন, তা-ই করেছি।’’ এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের নামও করেছেন রবীন্দ্র। মুকুলবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘জেতার পরে ওঁকে কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু উনি নিজেই বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ও রাজ্যপালের কাছেও গিয়েছিলেন।’’
কিন্তু প্রশ্ন হল, বিজেপি-কে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেও কেন রবীন্দ্রের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি তৃণমূল নেতৃত্ব? মুকুলবাবুর জবাব, ‘‘দল চাইলেই ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। ওঁর নিরাপত্তার কথা ভেবেই আমরা কিছু করিনি।’’ বিষয়টি নিয়ে এখন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মুকুলবাবু জানিয়েছেন।
নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরের সামনে বিক্ষোভ জমায়েতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘মণিপুরে বিজেপি-র একটা ঠেকনা দরকার ছিল। তৃণমূল সেই ভূমিকা নিয়েছে। ওদের বিধায়ক নিজেই জানিয়েছেন, সর্বভারতীয় নেতার নির্দেশে তিনি আস্থা ভোটে বিজেপি-কে সমর্থন করেছেন। ম্যাচ কেমন গড়াচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে!’’ আর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি মুখেই পরস্পরের বিরোধিতা করে। মণিপুরে তৃণমূল প্রমাণ করে দিল, তারা পরস্পরের পরিপূরক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy