প্রকাশ্য দিবালোকে এক মহিলা বিচারপতিকে অপহরণের চেষ্টা করলেন এক ট্যাক্সিচালক। রাজধানী দিল্লির ঘটনা। অপহরণের অভিযোগে ওই ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, এই ঘটনার জেরে ফের এক বার বড়সড় প্রশ্নের মুখে রাজধানীতে মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা দিল্লির কড়কড়দুমা আদালতের বিচারক। সোমবার আদালতে যাওয়ার জন্য একটি ট্র্যাভেলস সংস্থা থেকে ‘ক্যাব’ বুক করেন তিনি। সকাল ১০টা নাগাদ ওই ট্যাক্সিটি এসে পৌঁছয় তাঁর মধ্য দিল্লির বাড়িতে। সেখান থেকেই তাঁকে নিয়ে আদালতের পথে রওনা দেন ট্যাক্সির চালক রাজেশ।
পুলিশের কাছে ওই মহিলার বিচারক জানিয়েছেন, আদালতের পথে যেতে হলে দিল্লির ময়ূর বিহারের পথে বাঁ-দিকে গাড়ি ঘোরাতে হয়। অভিযোগ, ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ময়ূর বিহারের দিকে গাড়ি না ঘুরিয়ে রাজেশ সোজা উত্তরপ্রদেশের হাপুরের দিকে এগোতে থাকেন। অন্য রাস্তায় গাড়ি যাচ্ছে দেখে চিৎকার করে ওঠেন ওই বিচারক। তাতেও সঠিক পথে না গিয়ে নির্বিকার ভঙ্গিতে গাড়ি চালাতে থাকেন রাজেশ।
বেগতিক দেখে গাজিপুর থানায় ফোন করেন ওই বিচারক। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় পুলিশ। এর পর গাড়ি ইউ-টার্ন করে দিল্লির দিকে ঘোরান রাজেশ। বিচারকের মোবাইলের টাওয়ার ট্র্যাক করে গাজিপুর টোল প্লাজার কাছে ওই ট্যাক্সিটিকে আটক করা হয়। এর পর গাজিপুর থানায় নিয়ে এসে রাজেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজেশের দাবি, ময়ূর বিহারের কাছে একটি বাঁক এড়িয়ে যাওয়াতেই সঠিক রাস্তাতে যেতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন
স্ত্রী ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন, হাদিয়াকে জানাল সুপ্রিম কোর্ট
‘পদ্মাবতী’ নিষিদ্ধ নয়, মুখ্যমন্ত্রীদের তিরস্কার করে ফের জানাল সুপ্রিম কোর্ট
পুলিশে চাকরি পেলেন অমিতাভ মালিকের স্ত্রী
রাজেশের বিরুদ্ধে গাজিপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিচারক। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের নজরে রয়েছে মাখিজা ট্র্যাভেলস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাজেশকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্টের কার্যনিবাহী প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তলের মতে, নিম্ন আদালতের বিচারপতিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা উচিত রাজ্য সরকারের। এই মুহূর্তে নিম্ন আদালতের অধিকাংশ বিচারককে পুলকারের মাধ্যমে আদালতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে প্রত্যেক বিচারপতির জন্যই নিজস্ব গাড়ির ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করেছেন কার্যনিবাহী প্রধান বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy