এক প্রতিযোগিতায় জেতার পরে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিল তারা। সেই ‘অপরাধে’ এক ছাত্র ও এক ছাত্রীকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করেছিল তিরুঅনন্তপুরমের সেন্ট টমাস সেন্ট্রাল স্কুল। তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের হস্তক্ষেপে ফের স্কুলে ফেরার সুযোগ পেল সেই কিশোর-কিশোরী।
স্কুলের এই সিদ্ধান্তের পরে কড়া সমালোচনা শুরু হয় নানা শিবিরে। প্রতিবাদ করেন তারুরও। দ্বাদশ ও একাদশ শ্রেণির ওই দুই পড়ুয়ার পরীক্ষা সামনেই। স্কুলের সিদ্ধান্তের ফলে তাদের পড়াশোনায় এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
এরপরেই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হন তারুর। প্রথমে ওই স্কুলের পরিচালক সংস্থা মার টমা চার্চ এডুকেশনাল ট্রাস্টের সম্পাদক রাজন ভার্ঘিজ এবং ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল সেবাস্টিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে কথা বলেন দুই পড়ুয়া ও তাদের পরিবারের সঙ্গে। গতকাল তাঁর উদ্যোগে তিরুঅনন্তপুরমের সরকারি অতিথিশালায় বৈঠকে বসেন স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি এবং দুই পড়ুয়া ও তাদের পরিবারের সদস্যেরা।
বৈঠকের পরে তারুর টুইটারে বলেন, ‘‘কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। তবে আমরা অনেকটাই এগোতে পেরেছি। স্কুলকে মর্যাদা ফিরে পেতে হবে। পড়ুয়াদেরও বছর নষ্ট হওয়া ঠিক নয়।’’ তারুরের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, কিছু শর্তসাপেক্ষে দুই পড়ুয়াকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে ৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারেন তাঁরা।
বিষয়টি নিয়ে কেরালা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ছাত্রটির পরিবার। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রের পরিবার। তাতে আপত্তি জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই পড়ুয়া জানায়, তার বিরুদ্ধে কোর্টের নির্দেশ থেকে আপত্তিকর মন্তব্য বাদ যাওয়া প্রয়োজন। তারুর সেই দাবিকে সমর্থন করেন। তবে কেরলের শিশু অধিকার কমিশনে দেওয়া আর্জি নিয়ে আর না এগোতে রাজি হয়েছে পড়ুয়ার পরিবার। ৩ জানুয়ারি ফের দু’পক্ষের বৈঠক হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy