হসুর এলিভেটেড উড়ালপুল। এখানেই ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি।
রবিবার স্কুল ছুটি। শনিবার তাই মাঝরাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল ওরা। দুরন্ত গতিতে উড়ালপুলের উপর দিয়ে গাড়ি ছুটিয়ে দিয়েছিল। চলছিল গতির প্রতিযোগিতা। কিন্তু খনিকের ফূর্তি যে বিষাদে পরিণত হবে তা তারা জানত না। জানত না ওদের পরিবারও। অনিয়ন্ত্রিত গতিই প্রাণ কেড়ে নিল এক নাবালকের। ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল তার। গুরুতর জখম হল তার দুই বন্ধু। শনিবার মাঝরাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর হসুর এলিভেটেড উড়ালপুলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিন জনই নাবালক ছিল। জখম দু’জনকে গ্রেফতারের পর ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাদিওয়ালা জুভেনাইল রিমান্ড হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নাবালক সন্তানদের এ ভাবে গাড়ি চালাতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাদের বাবাদের। পরে জামিনে মুক্ত হন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মাকে দু’বছর ধরে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছেলে
পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত গতিতে গাড়ি ছোটানো ওই তিন নাবালকেরই অনেক দিনের অভ্যাস। প্রতি শনিবার এ ভাবেই অভিভাবকের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ত তারা। ওই রাতে তাদের মধ্যে একজন স্কোডা গাড়ি চালাচ্ছিল। এক জনের কাছে ছিল ইনোভা এবং তৃতীয় জনের কাছে অন্য একটি গাড়ি (তবে সেটি কী গাড়ি তা পুলিশ জানায়নি) ছিল। ১৫০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি তিনটি উড়ালপুলের উপর দিয়ে ছুটছিল। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কোডা গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে পাল্টি খেয়ে যায়। মাথায় চোট লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই নাবালক। তার ঠিক পিছনেই ছিল ইনোভা গাড়িটি। স্কোডা গাড়িটিকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা অন্য একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে সেও। তার পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে তৃতীয় গাড়িটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy