মায়াবতী
ভেবেছিলেন দলিতদের সমস্যা নিয়ে তুফান তুলবেন প্রচারে। সেই অঙ্কে কিছু দিন আগে ইস্তফাও দিয়েছিলেন সংসদ থেকে। কিন্তু হারানো জমি উদ্ধারের স্বপ্ন নিয়ে জোরদার প্রচার শুরুর আগেই ধাক্কা খেলেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। দলের ভিতরে ও সমর্থকদের মধ্যে তাঁকেই কোণঠাসা করতে নামলেন বিএসপি থেকে বহিষ্কৃত বেশ কিছু নেতা। নেতৃত্ব থেকে তাঁকে সরাতে ১৬ টি দলিত, ওবিসি ও মুসলিম সংগঠন একজোট হয়েছে। মায়াবতীর এক সময়ের ঘনিষ্ঠ নেতা নসিমুদ্দিন সিদ্দিকির নেতৃত্বে এই প্রয়াসের পিছনে কলকাঠি নাড়ছে কারা, তা নিয়েও কৌতূহল তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: রাবড়ীর ফ্ল্যাট বিক্রি, অভিযোগ সুশীলের
নরেন্দ্র মোদীর শাসনে বিভিন্ন রাজ্যে দলিত হত্যা নিয়ে প্রচার চালালেও উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে তার ফসল তুলতে পারেননি মায়াবতী। এমনিতেই গত লোকসভা ভোটে খাতা খুলতে পারেনি তাঁর দল, তার উপর বিধানসভায় বিপর্যয় মায়াবতীকে চাপে ফেলেছে। তাই এই মুহূর্তে রাজ্যসভার দলের মোট পাঁচ জন সাংসদের উপরেই ভরসা রেখে চলতে হচ্ছে তাঁকে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগও ঝুলছে মাথার উপরে। তবে সব কিছু সামলে বিএসপি নেত্রী ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন পরের লোকসভায়। আর মায়ার এই চেষ্টাতেই জল ঢালতে চাইছেন বিএসপি থেকে বহিষ্কৃত নসিমুদ্দিনের মতো নেতারা।
কাল দিল্লিতে ১৬টি দলিত সংগঠন ও বিএসপি থেকে বহিষ্কৃত নেতারা আলোচনায় বসেছিলেন। এখানে ন্যাশনাল বহুজন অ্যালায়েন্স নামে দলিত, ওবিসি ও মুসলিমদের নতুন মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। মায়াবতী এখন কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলির কাছাকাছি রয়েছেন। তাই অনেকেই মনে করছেন, দলিতদের এই নতুন মঞ্চের পিছনে বিজেপির হাত থাকতে পারে। কারণ, মায়াবতীর প্রভাব কমানোই হবে এদের মূল কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy