ফলপ্রকাশের পর অনুরূপা ও অপরূপা। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী।
দু’জনেরই পছন্দ চিলি চিকেন। এক জনের ভ্যানিলা আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করলে, অন্য জনও ওই আইসক্রিমের বায়না ধরে। একই রকম পোশাক পছন্দ তাদের। বৃষ্টি হলে একই সঙ্গে ছাদে ভিজতে যায় রাঁচির যমজ বোন অনুরূপা, অপরূপা। কিন্তু পরীক্ষার ফলে মাত্র এক নম্বরের তফাৎ হল তাদের। আইসিএসই পরীক্ষায় অনুরূপা পেল ৪৯০। অপরূপা ৪৮৯। এক জনের ৯৮%, অন্যের ৯৭.৮%।
রাঁচির ডোরাণ্ডায় যমজ দুই বোনের পরিজন-পড়শিরা ভেবেই রেখেছিলেন, পরীক্ষায় দু’জনে একই নম্বর পাবে। কারণ, রাঁচির লোরেটো কনভেন্টের দুই ছাত্রী যে প্রথম শ্রেণি থেকে বরাবর প্রায় একই নম্বর পেত।
দুই বোন জানায়, তারা একই নোটস্ পড়ে পরীক্ষা দিয়েছে। একই সঙ্গে রাত জেগেছে। অপরূপা বলে, ‘‘দু’জনে সমান খাটলাম। কিন্তু এক নম্বরের জন্য এদিক ওদিক হয়ে গেল। খুব ভাল লাগত যদি আমরা একই নম্বর পেতাম।’’ চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় তারা। তাদের বাবা শৈলেশ চট্টোপাধ্যায় বিরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। তিনি বলেন, ‘‘দু’জনের খুব মিল। কনভেন্ট স্কুলে পড়লেও বাংলা উপন্যাস নিয়ে ওদের খুব উৎসাহ। দুই বোনই ফেলুদার ভক্ত।’’ শুধু ফেলুদাই নয়, অনুরূপা জানায়, তারা শরৎচন্দ্রেরও ভক্ত। শ্রীকান্ত উপন্যাস পড়েছে। পড়েছে রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প, কবিতাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy