প্রতীকী ছবি।
অনলাইন কেনাকাটা করতে গিয়ে ঠকেছেন, প্রতিনিয়তই এমন ভূরি ভূরি অভিযোগ শোনা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কনজিউমার ফোরামে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ তো দূরে থাক, অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে কনজিউমার ফোরামে। চাতকের মতো চেয়ে থাকতে থাকতে একটা সময় হাল ছেড়ে দেন গ্রাহকেরা। ধুলো জমতে থাকে কনজিউমার ফোরামে করা অভিযোগগুলোতে।
কিন্তু এ বার গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে হাজির হয়েছে অনলাইন কনজিউমার মিডিয়েশন সেন্টার (ওসিএমসি)। কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের উদ্যোগে গঠিত এই সেন্টারটির মূল ভূমিকা হল গ্রাহক ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার মধ্যে মধ্যস্থতা করে বিষয়টি একটা জায়গায় দাঁড় করানো, যাতে উভয় পক্ষেরই স্বার্থ রক্ষা হয়। ওসিএমসি-র অধ্যাপক অশোক আর পাতিল জানান, আর ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে দৌড়াদৌড়ি নয়, গ্রাহকদের সেই বোঝা ও মাথা ব্যথা কমাতেই এই সংস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে। গ্রাহক ও অভিযুক্ত সংস্থার মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতেই কেন্দ্র দু’বছরের এই পাইলট প্রোজেক্ট চালু করেছে। সংস্থার ক্যাচলাইন— এনিটাইম এনিহোয়্যার ডিসপুট রিজোলিউশন।
আরও পড়ুন: সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা উঠে গেল
সমীক্ষা বলছে, অনলাইনে কেনাকাটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকেরা। ৭৪.৯ শতাংশ গ্রামীণ গ্রাহকদের ক্রেতা সুরক্ষা আইন সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। অধ্যাপক পাটিল জানান, অনলাইনে অনেক সময় গ্রাহক-সংস্থার মধ্যে মধ্যস্থতার বিষয়টি সহজ হয়ে ওঠে না। তবে সব সময়ই চেষ্টা করা হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা। তিনি আরও জানান, ওসিএমসি-তে অভিযোগ জানানোর পর গ্রাহকদের আদালত বা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে আলাদা করে কোনও অভিযোগ দায়ের করতে হবে না। ওসিএমসি-তে মধ্যস্থতা পর্বে যাতে ই-কমার্স সংস্থাগুলি যাতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে সে বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy