সংরক্ষণের আগে(নীচে) ও পরে। ছবি: সৌজন্য তেলঙ্গানা মিউজিয়াম।
দু’হাজার বছরেরও বেশি পুরনো সম্পদ। তাকে যত্নআত্তি করে রাখতে ভরসা আধুনিক প্রযুক্তি। দু’হাজার বছরের পুরনো মিশরের মমি যাতে নষ্ট না হয়ে যায় তার জন্য তেলঙ্গানার সরকারি জাদুঘরে সিটি স্ক্যান এবং এক্স রে-র মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষের দাবি, ভারতে আগে কোথাও এমনটা হয়নি। ১৯২০ সালে ষষ্ঠ নিজাম মির মেহবুব আলি খান ওই মমি পেয়েছিলেন। তাঁর ছেলে নিজাম মির ওসমান আলি খান এই জাদুঘরে মমিটি দান করেছিলেন। ১৯৩০ থেকে তা রয়েছে তেলঙ্গানার জাদুঘরে।
এটিকে নিয়ে ভারতের বিভিন্ন জাদুঘরে মিশরের ছ’টি মমি রয়েছে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, তেলঙ্গানার এই মমি ১৬-১৮ বছরের কোনও মেয়ের। সময়টা খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১০০ শতাব্দীর (টলেমি যুগের) বলে মনে করা হয়। কিন্তু স্ক্যানের পরে দেখা যায়, সেটি ২৫ বছরের এক যুবতীর। যাঁর উচ্চতা ১৩৬ সেন্টিমিটার। মমিটির যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তার জন্য সেটিকে রাখা হচ্ছে হাওয়া বর্জিত একটি বাক্সে। মমির সঙ্গে থাকা সব জিনিসই রেখে দেওয়া হচ্ছে। এর পরে নতুন বিশেষ বাক্সে রাখা হবে তাকে। এখন যে প্রযুক্তিতে মমিটিকে রাখা হবে, তা বিশ্বে মাত্র দু’একটি জাদুঘরে এখনও পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
মমি সংরক্ষণের উপদেষ্টা বিনোদ ড্যানিয়েল বলেছেন, ‘‘এ ভাবে সংরক্ষণের নজির বিশেষ নেই ভারতে। এখানে যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে পরে তা অন্য জাদুঘরেও ব্যবহার করা হতে পারে।’’ ড্যানিয়েলের মতে, ‘‘সিটি স্ক্যান এবং এক্স রে হওয়ার পরে ওই নতুন বাক্সে রাখা হয়েছে মমিটিকে।’’ টলেমি যুগের মেয়েটি মমি হওয়ার প্রক্রিয়ার সময় তার মস্তিষ্ক এবং প্রধান অঙ্গগুলির বেশির ভাগই বাদ গিয়েছে। পাঁজরগুলিরও ক্ষতি হয়েছে। মেরুদণ্ড এবং একটি গোড়ালির কিছুটা অংশও সরে গিয়েছে। তা ছাড়া বাকি সব হাড়, করোটি এবং দাঁত একেবারে অক্ষত রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy