বিহারের উচ্চমাধ্যমিকের ‘প্রথমা’ রুবি রাইয়ের ঘটনা সে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে নগ্ন করে দিয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তরপ্রদেশের শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল চিত্র প্রকাশ্যে চলে এল। এ বার কোনও ছাত্র নয়, কাঠগড়ায় দুই অধ্যাপক। একজন ইংরাজির এবং অন্য জন অর্থনীতির।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট (আইটিএইচএম) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরের ইংরাজি, অর্থনীতি এবং ইতিহাসের পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য ওই দুই অধ্যাপক আবেদন করেন। কিন্তু আবেদন পত্রে লেখার সময় ইংরাজির অধ্যাপক শ্যাম বাহাদুর ‘ইভ্যালুয়েশন’ (evalluation) বানান যা লিখেছিলেন তা দেখে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটরের চক্ষু চড়ক গাছ। এক জন ইংরাজির অধ্যাপক হয়ে কী ভাবে এই বানান লিখলেন ওই অধ্যাপক, প্রশ্ন তুলেছেন কো-অর্ডিনেটর। এখানেই শেষ নয়। আরও বিস্ময়ের বাকি ছিল। অর্থনীতির অধ্যাপক অনিল কুমার পাল তো জানেনই না ‘আইএমএফ’-এর অর্থ কী? এবং ‘অডিট’ কাকে বলে? অনিলবাবুর উত্তর শুনে আরও আশ্চর্য হয়েছেন কো-অর্ডিনেটর। তিনি লিখেছিলেন আইএমএফ-এর অর্থ হল, ‘ইন্টারন্যাশনাল মানি ফাউন্ড’। এই দুই অধ্যাপক এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের নামকরা দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে আসছেন। সমীক্ষা বলছে, উত্তরপ্রদেশের এই ছবি নতুন নয়। এমনও শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নামও ঠিক করে জানেন না। ইতিমধ্যেই ওই অধ্যাপকের ডিগ্রির সার্টিফিকেট নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy