সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শুধু। দশ দিনও পেরোয়নি, বেঙ্গালুরুর স্কুলে ফের উঠল ধর্ষণের অভিযোগ।
এ বার এখানকার এক স্কুলে ছ’বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই স্কুলেরই এক শিক্ষককে। তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার মতোই এ ক্ষেত্রেও প্রতিবাদে উত্তাল অভিভাবকরা। কিন্তু তাতে নিগ্রহের ঘটনায় ছেদ পড়ছে না, বরং বারবার এই ধরনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, শহরের স্কুলগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কতটা গলদ রয়ে গিয়েছে। রাজ্যে পর পর ধর্ষণের ঘটনায় এ দিন মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও। তাঁর দাবি, “বেসরকারি স্কুলগুলিতেই এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। আমরা এই সব স্কুল-কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তার রক্ষায় সার্কুলার পাঠাচ্ছি। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দিন দশেক আগে তিন বছরের মেয়েটির যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল যে স্কুলে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
গত কাল ওই ছ’বছরের মেয়েটির মা থানায় অভিযোগ জানানোর পরে প্রথমে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নিজেই অপরাধের কথা স্বীকার করায় পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ব্যক্তি ওই স্কুলটির সঙ্গে বহু দিন যুক্ত। ২৮ এবং ২৯ অক্টোবর পর পর দু’দিন সে প্রথম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে স্কুল চত্বরের মধ্যেই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হেমন্ত নিম্বলকার বলেছেন, স্কুলটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক বিধিই মানেনি বলে আমরা জানতে পেরেছি।
ওই ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মেয়ে তাঁকে জানায় শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায়, যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে সে।
গত চার মাসে শহরে পর পর চার বার এমন ঘটনা ঘটে গেলেও স্কুলগুলিতে বেশ কিছু নির্দেশিকা আগে থেকেই দিয়েছিল পুলিশ। স্কুলবাসে জিপিএস ব্যবস্থা, স্কুল চত্বরে সিসিটিভি রাখা তার মধ্যে রয়েছে। অগস্টের শেষ থেকেই এই সব নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যেই ২০০টি স্কুলের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে। তিন মাস আগেই শহরের স্কুলে ছ’বছরের একটি মেয়েকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে পথে নেমেছিল বেঙ্গালুরু। সেই ঘটনায় ওই স্কুলের দু’জন জিম প্রশিক্ষক গ্রেফতার হন। তার পরে গত অগস্টে স্কুল চত্বরেই আট বছরের একটি মেয়েকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই এক প্রবীণ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy